মোঃ আনোয়ার হোসেন, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন দাখিলের আজ শেষ দিনে শেরপুর-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শ্রীবরদ্দী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সাবেক এমপি  মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল এমপি  আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।সোমবার ৩.৩০মিঃ দিকে তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।মনোনয়ন দাখিলকালে মোঃমাহমুদুল হক রুবেল সাবেক এমপি  সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রীবর্দ্দী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার আহবায়ক ও সদস্য সচিব, উপজেলা বিএনপিসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর এক বক্তব্যে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল বলেন আমি শেরপুর-৩ আসনের সাধারণ মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব।”তিনি আরও বলেন,“আমি এমপি হলে একজন এমপি  হিসেবে মানুষের সেবাকে দায়িত্ব হিসেবে নিব। নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নারীদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবো। শ্রীবর্দ্দী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার  প্রতিটি মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকতে চাই থাকব।মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল একজন শিক্ষিত, সৎ ও জনবান্ধব নেতা। তাঁর মনোনয়ন শ্রীবর্দ্দী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল এমপিকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিয়েছেন।এই মনোনয়ন শুধু একজন প্রার্থীর নয়, এটি শ্রীবর্দ্দী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার  মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করবো এবং জনগণের রায়ে বিজয় অর্জন করবো।মনোনয়ন দাখিলকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে উপস্থিত থেকে প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানান।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেরপুর-৩ আসনে মোঃ মাহমুদুল হক রুবেল এমপি  মনোনয়ন দাখিলের মধ্য দিয়ে বিএনপির নির্বাচনী কার্যক্রম নতুন গতি পাবে এবং এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।