
তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি নরসিংদী।
নরসিংদী সরকারি হাসপাতালে আবারও আলোচনায় কুখ্যাত ওয়ার্ড মাস্টার—যার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলছে নানা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ। একই পদে টানা ১৬ বছর বহাল থাকা এই ব্যক্তির রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, একাধিক প্রাইভেট ক্লিনিক ও কোটি টাকার সম্পদ। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালের সবকিছুই ‘ম্যানেজ’ করেই তিনি এভাবে জমজমাট অবস্থানে টিকে আছেন।
এক দরিদ্র রোগীর মৃত্যু হলে ওয়ার্ড মাস্টার ও ওয়ার্ড বয় মৃতদেহ হস্তান্তরের আগে স্বজনদের কাছে ১০,০০০ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাশ আটকে রাখা হয় এবং দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল ৯টায় মৃত্যু হওয়া রোগীর লাশ পরিবারকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দায়িত্ব এড়িয়ে আরএমও’র কাছে পাঠিয়ে দেন। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন—হাসপাতালটি দালালচক্রে পরিপূর্ণ, প্রেসক্রিপশনে থাকা ওষুধগুলো ফার্মেসিস্টরা “নেই” বলে লুকিয়ে রাখে, অথচ তা বিক্রি করে বা পরিচিতদের দিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবার দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তুলেছে—মানবিক সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতেও নরসিংদীর স্বাস্থ্যখাত কেন অব্যবস্থাপনার অন্ধকারে ডুবে আছে ।