রাসপূজায় যেতে সুন্দরবনের পাঁচটি রুট নির্ধারণ
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫
-
৬
বার পড়া হয়েছে

মোঃ শামীম হোসেন – স্টাফ রিপোর্টার
সুন্দরবনের দুবলারচরে আগামী ৩ থেকে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান। তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ নির্ধারণ করেছে পাঁচটি অনুমোদিত রুট।বন বিভাগ জানিয়েছে, রাসপূজাকে কেন্দ্র করে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশ নিতে পারবেন। তাদের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত পাঁচটি রুটে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের যৌথ টহল দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
নির্ধারিত পাঁচটি রুট:১. বুড়িগোয়ালিনী-কোবাদক-বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল-হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর২. কয়রা-কাশিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা-আড়ুয়া শিবসা-মরজাত হয়ে দুবলার চর৩. নলিয়ান স্টেশন-শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর৪. ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ-পশুর নদী হয়ে দুবলার চর৫. বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলারচর হয়ে সুন্দরবনের বাহির দিয়ে দুবলার চরবন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং শুধুমাত্র দিনের বেলায় নৌযান চলাচল করা যাবে। কোনো নৌযান বন বিভাগের নির্ধারিত চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও থামতে পারবে না। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রতিটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট বা বয়া রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চ বা ট্রলারের গায়ে বি, এল, সি/সিরিয়াল নম্বর ও তীর্থযাত্রীর সংখ্যা লেখা থাকবে। সুন্দরবনে প্রবেশের সময় প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে টোকেন বা টিকিট প্রদান করা হবে, যা সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। বন বিভাগ আরও জানিয়েছে, রাসপূজায় বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, শিকার সামগ্রী, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ও শব্দদূষণকারী সরঞ্জাম বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারও কাছে এসব পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুমতি পেতে তীর্থযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ আবেদন করতে হবে। প্রতিটি নৌযানকে আলোরকোল কন্ট্রোলরুমে রিপোর্ট করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট পথের অনুমতিপত্রে সিলমোহরসহ রুট উল্লেখ থাকবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ জানিয়েছে, তীর্থযাত্রীদের এই নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান নির্বিঘ্ন ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন হয়। সুন্দরবনের পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এজেডএম হাসানুর রহমান বলেন, রাসপূজা উপলক্ষ্যে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শেষ পর্যায়ে। এই সময়টাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিভিন্ন ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করা নিরাপত্তা কর্মী ও বন কর্মীদের এই তিনদিন বিভিন্ন রুটে দায়িত্ব দেয়া হবে। সব মিলিয়ে স্বাভাবিকভাবে এবার রাস উৎসব পালিত হবে বলে আশা করছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন