খুলনার দাকোপের বটবুনিয়ায় দুই দিনেও মেরামত হয়নি ঢাকী নদীর বাঁধ, তলিয়েছে হাজার বিঘার আমন, বিপাকে এলাকাবাসী
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫
-
৯
বার পড়া হয়েছে

মোঃ শামীম হোসেন – স্টাফ রিপোর্টার
নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দুই দিনেও মেরামত সম্ভব হয়নি। এতে খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মৎস্যঘের, সবজির সঙ্গে সোয়া দুই হাজার বিঘার আমন ধান সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঢাকী নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে দাকোপ উপজেলার ৩০ নং পোল্ডারের অধীন তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া হরিসভা মন্দির সংলগ্ন বাঁধ ভেঙে যায়। তীব্র পানিপ্রবাহ ও পানি না কমায় দুই দিনেও সেটি সংস্কার সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তিলডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জালাল উদ্দিন বলেন, ভাঙনস্থলে ইতিমধ্যে বালু ও জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। কিন্তু পানির তীব্র চাপে বাঁধ আটকানো সম্ভব হয়নি। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে পানি ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রামে প্রবেশ করেছে। দুই হাজারের বেশি আমন ধান তলিয়ে গেছে। সবজি ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষ বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বিশেষ করে নারী-শিশুদের দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, আজও (বৃহস্পতিবার) বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হবে না। জোয়ারের পানি কমলে মাত্র কয়েকঘণ্টা বাঁধের কাজ করা সম্ভব। স্থানীয়রা জানান, জোয়ারের পানি ঢুকে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলাবুনিয়া, মশামারী, গড়খালী, বটবুনিয়া ও কাঁকড়া বুনিয়া গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানি ঢুকে গেছে নিশানখালী বিলে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করছে। কিন্তু জোয়ারের পানির চাপ বেশি হওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব বাঁধটি আটকানো হবে। এদিকে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দ্রুত বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে আশ্বস্ত করেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন