অভাবের গল্পে হারিয়ে গেছে সিফাতের শৈশব ও স্কুলব্যাগ
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
-
৮
বার পড়া হয়েছে

আলমগীর হোসাইন, হিজলা (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের চার সন্তানের জননী মারুফা বেগম এখন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন। বছর দেড়েক আগে স্বামী মোঃ রাসেল মাতাব্বর অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে চলে যাওয়ার পর থেকেই নেমে এসেছে অনাহার-অভাবের কালো ছায়া।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মারুফা বেগম বলেন,
> “দেড় বছর হলো আমার স্বামী আমাদের ফেলে চলে গেছে। চারটি সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়। আমার ছেলে পড়াশোনা ছেড়ে এখন গাঙ্গে কাজ করে আমাদের খাওয়ানোর জন্য। আমি শুধু চাই, আমার স্বামী যেন ফিরে আসে।”
চৌদ্দ বছর আগে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মাতাব্বরের ছেলে মোঃ রাসেল মাতাব্বরের সঙ্গে বিয়ে হয় মারুফা বেগমের। সংসারটি চলছিল সুখে-শান্তিতে। কিন্তু বছর দেড়েক আগে গ্রামের নজির হাওলাদারের বিবাহিত মেয়ে খালেদার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাসেল। পরে খালেদাকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে আর স্ত্রী-সন্তানদের কোনো খোঁজখবর রাখেননি।
রাসেলের বাবা নুরুল ইসলাম মাতাব্বর বলেন,
> “রাসেল চলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও সন্তানরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়। আমার নাতি সিফাত স্কুলে যেত, এখন সংসার চালানোর জন্য গাঙ্গে কাজ করতে হয়। ওদের নামে কোনো সরকারি সহায়তার কার্ডও নেই। যদি সরকারি সহায়তা পেত, ওরা হয়তো একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারত।”
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বড় মেয়ে সিনথিয়া জানায়,
> “আমাদের দাদু এখনো যতটা পারেন দেখেন, কিন্তু আমাদের চলা খুব কষ্টের। আমার ভাই পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যায়। বাবা গত কোরবানির ঈদের আগে এসেছিলেন, দুই দিন পর আবার কিছু না বলে চলে গেছেন।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নজির হাওলাদারের মেয়ে খালেদা পূর্বেও তিনটি সংসার নষ্ট করেছেন।
তারা বলেন, সরকারের দৃষ্টি পড়লে এই অসহায় পরিবারটি হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন