1. murshedkamalmizan@gmail.com : অভিযান নিউজ টিভি : অভিযান নিউজ টিভি
  2. info@www.ovizannewstv.com : অভিযান নিউজ টিভি :
শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফুলপুরে ১০ দিনের ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ (পুরুষ-মহিলা)- সফল সমাপ্তি ও সনদপত্র এবং পুরস্কার বিতরণ নারায়ণগঞ্জ বন্দর ২২ নং ওয়ার্ড নুরবাগ এলাকা থেকে মসজিদ কমিটি অভিযান নন্দীগ্রামে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপির দোয়া  কালিনগর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ফুটবল বিতরণ শেরপুরে ফাঁদ পেতে পাখি হত্যার অভিযোগে ২ জনকে আটকের পরে মুচলেকায় মুক্তি নরসিংদীতে আবারও ভূমিকম্প — বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে কেঁপে উঠল জেলা নন্দীগ্রামে ধান ৩৪ টাকা ও চাল ৫০ টাকায় কিনবে সরকার ঝিনাইগাতিতে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ‘২৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠিত ২৮নভেম্বর কুমিল্লায় আসছেন জৈনপুরী পীর আল্লামা শাহ্সুফি ফাররুখ ছেয়ার সিদ্দিকী আল কুরাইশী

অভাবের গল্পে হারিয়ে গেছে সিফাতের শৈশব ও স্কুলব্যাগ

প্রতিনিধির নাম :
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩০ বার পড়া হয়েছে

আলমগীর হোসাইন, হিজলা (বরিশাল) প্রতিনিধি:

বরিশালের হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের চার সন্তানের জননী মারুফা বেগম এখন চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন। বছর দেড়েক আগে স্বামী মোঃ রাসেল মাতাব্বর অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ফেলে চলে যাওয়ার পর থেকেই নেমে এসেছে অনাহার-অভাবের কালো ছায়া।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মারুফা বেগম বলেন,

> “দেড় বছর হলো আমার স্বামী আমাদের ফেলে চলে গেছে। চারটি সন্তান নিয়ে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়। আমার ছেলে পড়াশোনা ছেড়ে এখন গাঙ্গে কাজ করে আমাদের খাওয়ানোর জন্য। আমি শুধু চাই, আমার স্বামী যেন ফিরে আসে।”

চৌদ্দ বছর আগে একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মাতাব্বরের ছেলে মোঃ রাসেল মাতাব্বরের সঙ্গে বিয়ে হয় মারুফা বেগমের। সংসারটি চলছিল সুখে-শান্তিতে। কিন্তু বছর দেড়েক আগে গ্রামের নজির হাওলাদারের বিবাহিত মেয়ে খালেদার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন রাসেল। পরে খালেদাকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর থেকে আর স্ত্রী-সন্তানদের কোনো খোঁজখবর রাখেননি।

রাসেলের বাবা নুরুল ইসলাম মাতাব্বর বলেন,

> “রাসেল চলে যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও সন্তানরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়। আমার নাতি সিফাত স্কুলে যেত, এখন সংসার চালানোর জন্য গাঙ্গে কাজ করতে হয়। ওদের নামে কোনো সরকারি সহায়তার কার্ডও নেই। যদি সরকারি সহায়তা পেত, ওরা হয়তো একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারত।”

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বড় মেয়ে সিনথিয়া জানায়,

> “আমাদের দাদু এখনো যতটা পারেন দেখেন, কিন্তু আমাদের চলা খুব কষ্টের। আমার ভাই পড়াশোনা ছেড়ে কাজে যায়। বাবা গত কোরবানির ঈদের আগে এসেছিলেন, দুই দিন পর আবার কিছু না বলে চলে গেছেন।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নজির হাওলাদারের মেয়ে খালেদা পূর্বেও তিনটি সংসার নষ্ট করেছেন।

তারা বলেন, সরকারের দৃষ্টি পড়লে এই অসহায় পরিবারটি হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট