পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়র খাস জমির রেকর্ডিও ১০টি খাল প্রভাবশালীদের দখলে
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫
-
৫
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, সরকারি খাস জমির রেকর্ডিও ১০টি খাল ভরাট ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। এলাকার একশ্রেণীর প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়া খাস জমিতে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকান ঘর ও অবৈধ স্থাপনা। আর এভাবেই কৃষি প্রধান এলাকার সেচ সুবিধার সহায়ক সরকারী রেকর্ডিও খালগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা শহর সংলগ্ন পিরতলা বাজারের খাল, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি খাল, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের জামলার খাল, মুন্সির হাটে ফেদিয়ার খাল, কচ্ছপিয়া, গোদার খাল, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার সংলগ্ন খালসহ অন্তত: ১০টি রেকর্ডিও সরকারী খাল ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের দখলীয় পৈত্রিক ও রেকর্ডিও সম্পত্তির অগ্রভাগ দাবিতে সরকারী খাল ভরাট করে দোকান ঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আংঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি মৌজার ২২৭নং খতিয়ানে ৪৩৭ নং দাগের রেকর্ডিও সরকারি খালটি আস্তে আস্তে ভরাট ও বেদখল হওয়ায় দুমকি সাতানী ও আঠারোগাছিয়া মৌজার প্রায় কয়েকশ’ হেক্টর আবাদি জমির সেচের পানি উঠা নামা মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। পিরতলা বাজার সংলগ্ন খালটি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। জামলা খালটি ওয়াপদা ভেরিবাঁধে আটকে রাখায় এবং ১০০গজের ব্যবধানে ডানিডা সড়কের আরও একটি বাঁধ নির্মিত হওয়ায় খালটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ বদ্ধ খালের সরকারী রেকর্ডি জমি ক্রমে ক্রমে ভরাট হয়ে স্থানীয় মালিকরা সম্পত্তির সাথে মিলিয়ে ভোগদখল করছেন। এভাবে পানি চলাচলের রেকর্ডিও খাল বেদখল ও ভরাট হয়ে অস্তিত্বের সংকটে পরায় ওই এলাকার কৃষি জমির চাষাবাদে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেচ সুবিধা বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় প্রতি বছর ফসল হানীর ঝুকিতে পড়েছে কৃষিজীবিরা।দুমকি সাতানী, ও শ্রীরারামপু ইউনিয়নের চরবয়ড়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের, কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুমকি সাতানী, মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার, এবং চরবয়ড়া গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্যান্যদের মতো সাতানী খালটি ভরাট করে অবৈধ ভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। ।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক বেদখল হওয়া রেকর্ডিও সরকারী খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিলেও রহস্যজন কারণে তা কার্যকর হয়নি। উপজেলা ভূমি অফিস এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে নোটিশ দিলেও অদৃশ্য কারণে উচ্ছেদাভিযান থেমে গেছে। আর এ কারনেই অবৈধ দখলদাররা তাদের দোকান ঘর না সরিয়ে বরং দ্বিগুন উৎসাহে দোকান ঘর চালু করেছেন। অভিযোগ ওঠেছে, ক্ষমতার দাপটে ভূমি ও ইউএনও অফিসকে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলদাররা সরকারী খাল বহাল তবিয়তে দখল করে আছেন। আঙ্গারিযা ইউনিয়নের দুমকি সাতানি, শ্রীরামপুর, মুরাদিয়া ও আঠারগাছিয়া মৌজার এসব সরকারি খালের দু’পারের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি চাষাবাদে সেচ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবিলম্বে ওইসব খালের সকল অবৈধ্য স্থাপনা দোকান ঘর উচ্ছেদের দাবী করেছেন এলাকাবাসীরা।এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও অতিরিক্ত দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার( ভূমি) আবুজর মো: ইজাজুল হক বলেন, অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদের কোন তথ্য আমার জানা নেই। ফাইল দেখতে হবে। নূতন করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে মৌখিকভাবে আলোচনা হয়েছে। নির্দেশ পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন