শহিদ পরিবারের মাঝে দ্বিতীয় পর্যায়ের সঞ্চয়পত্রের চেক বিতরণ
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
-
৪
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আনোয়ার হোসেন শেরপুর প্রতিনিধি।
২৯ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তরফদার মাহমুদুর রহমান। তাঁর নেতৃত্বে আয়োজিত এই গৌরবময় ও মানবিক অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।গণঅভ্যুত্থানকালীন সময় দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের দাবিতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ আজও জাতির জন্য গৌরবের। এই শহিদদের সম্মান জানাতে এবং তাঁদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে সঞ্চয়পত্র বিতরণের এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন,১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ছিল আমাদের স্বাধীনতার বীজ রোপণের ইতিহাস। সে সময় শেরপুরবাসী যারা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শহিদ পরিবারগুলোর প্রতি সম্মান জানানো আমাদের রাষ্ট্রীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।তিনি আরও বলেন, শহিদ পরিবারদের পাশে জেলা প্রশাসন সবসময় রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।শহীদ পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত কন্ঠে বলেন এই সঞ্চয়পত্র শুধু আর্থিক সহায়তা নয় এটি আমাদের আত্মত্যাগের প্রতি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। আমরা কৃতজ্ঞ, এই প্রজন্ম আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগ ভুলে যায়নি, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সরকারি কমিশনার সহ গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ। সঞ্চালনায় দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার জনাবা ফারজানা আক্তার। অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ পরিবারদের হাতে সঞ্চয়পত্রের চেক হস্তান্তর করা হয় এবং তাদের সম্মানে একটি ক্ষণিক আবেগ ঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়, এই অনুষ্ঠান শুধু একটি প্রশাসনিক কার্যক্রম নয়, বরং শহীদদের স্মরণ ও তাদের পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান ও দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ। শেরপুরবাসীর জন্য এটি ছিল এক স্মরণীয় দিন, যা আবারও মনে করিয়ে দেয় জাতি তার সন্তানদের কখনো ভুলে যায় না।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন