প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ৫:২৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ৪:৫৪ পি.এম
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা—শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঃ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:মোঃ দিলুয়ার হোসেন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে আগাম বন্যার কবল থেকে বোরো ধান রক্ষায় ডুবন্ত বাঁধ মেরামত ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০২৩ অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর, আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় ভান্ডাবিল হাওরের ২৭ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) বাঁধের নির্মাণ কাজ ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন কাবিটা স্কিম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস।
এছাড়াও মনিটরিং কমিটির সদস্য জনস্বাস্থ্য অফিসার রাশেদুল ইসলাম, পিআইও মির্জা মোঃ আবুছাঈদ ও হিমাদ্রি সরকার সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিয়াস চন্দ্র দাস বলেন, "সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করেছি।
আমাদের নির্দেশ স্পষ্ট—নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে, অবশ্যই গুণগত মান বজায় রেখে কাজ শেষ করতে হবে।
বাঁধ নির্মাণে কোনো রকম অনিয়ম বা গাফিলতি সহ্য করা হবে না। কৃষকের ফসল রক্ষায় বাঁধগুলো যাতে সঠিকভাবে নির্মিত হয়, সেজন্য নিয়মিত তদারকি (মনিটরিং) আরও জোরদার করা হয়েছে।"
শাল্লা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ওবায়দুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে কিছু বাঁধে কাজ শুরু হলেও হাওর থেকে পানি পুরোপুরি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি সব পিআইসিতে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
তিনি আশা প্রকাশ আরো বলেন, নির্ধারিত সময়সীমা এবং গুণগত মান নিশ্চিত করে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকা সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় একযোগে এই কাজ শুরু হয়েছে।
২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত জেলার মোট ৫১০টি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। জরিপকৃত ৪৩৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য মোট ১০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রয়োজন। শাল্লা উপজেলায় পাউবো কর্তৃক অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ৬২টি প্রকল্পে ৪৩.১৭৭ কিলোমিটার বাঁধের জন্য ১৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শতভাগ স্কীম প্রণয়নের পর বরাদ্দ ও প্রকল্পের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত