প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ৫:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ৪:৪২ পি.এম
কাজিপুরে পৌর ইন্জিনিয়ার কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা
শ্পেশাল প্রতিনিধিঃআব্দুর রহিম
সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার কাজিপুর পৌরসভার ইন্জিনিয়ার নামে বেনামে নিজেই ঠিকাদারী কাজ করে এবং এবং বিভিন্ন ঠিকাদারের কাজের বিল দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাজিপুর পৌরসভার দীর্ঘ দিন যাবত দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন সাহেব বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে বলে জানাগেছে। সামান্য বেতনে চাকুরী করে অল্পদিনেই অঢেল সম্পদের মালিক ইন্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম লিটন তাহলে তার এই আয়ের উত্স কোথায়? জনমনে প্রশ্ন? অল্প দিনে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেলো?
কাজিপুর পৌরসভায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার সকল বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে জানাযায়-গত ২০১৬/১৭/১৭/১৮/১৯ অর্থবছরের কাজের উপর অনুসন্ধান করে তথ্য পাওয়া যায় নগর উন্নয়ন প্রকল্প,এডিবি খাতের টাকার লেনদেনের ব্যাপারে বড় ধরনের দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে বলে
ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের সুত্রে জানাগেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ২০১৬-১৭ অর্থ বছর থেকে ২০২৪_২৫ অর্থ বছর পর্যন্ত বার্ষিক এডিবির বরাদ্দ প্রাপ্ত "এমআর কনস্ট্রাকশন এর চুক্তি মুল্য ২২লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৬ লাখ ৫০ হাজার বাকী ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা বিল উত্তলনের জন্য এমআর কনস্ট্রাকশন এর নিকট থেকে ১,৫০,০০০/- টাকা ঘুষ গ্রহন করে ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম কিন্তু বিল প্রদান করেন নাই শুধু সময় ক্ষেপন করেন ইন্জিনিয়ার । এমআর কনস্ট্রাকশন এর প্রোফাইটর নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর উক্ত বিলের টাকা উধাও হয়েছে পৌর ইন্জিনিয়ার টাকা কি করেছেন তার কোন হদিস নেই বলে দাবি করেন এমআর কনস্ট্রাকশন এর উত্তরাধিকারীগন।
গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের নগর উন্নয়ন এর ঠিকাদার মেসার্স স্বাধীন এন্টার প্রাইজএর প্রাপ্ত কাজের চুক্তি মুল্য ৭১ লাখ ৪৯ হাজার তার মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৪৮ লাখ বাকী ১৫ লাখ ২৭ হাজার টাকার কোন সন্ধান নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার।
মেসার্স আওয়াল এন্টারপ্রাইজ এর প্রাপ্ত কাজের চুক্তি মুল্য ৯৪ লাখ ৫০হাজার তার মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৬৫ লাখ বাকী ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এখনো বকেয়া আছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার।
মেসার্স জিম এন্ড কাফী এন্টারপ্রাইজ এর প্রাপ্ত কাজের চুক্তি মুল্য ৯২ লাখ ২৩ হাজার তার মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৪৪ লাখ বাকী ৩৭ লাখ বিল আজও হাতে পান নাই বলে দাবি জানান ঠিকাদার।
মেসার্স সাফীন এন্টারপ্রাইজ এর প্রাপ্ত কাজের চুক্তি মুল্য ৯১ লাখ ৫৫ হাজারএর মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৫৩ লাখ বাকী ২৮ লাখের সন্ধান নেই বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার।
মেসার্স নাজনীন নাহার এন্টারপ্রাইজ এর প্রাপ্ত কাজের চুক্তি মুল্য ৮৭ লাখ ৭৮ হাজার এর মধ্যে বিল প্রদান করেছে ৪৯ লাখ বাকী ২৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা কোথায় হারিয়ে গেলো প্রশ্ন রইলো ঠিকাদারের।
কাজিপুর পৌরসভার নগর উন্নয়ন এর ঠিকাদারদের বিল উত্তলনের জন্য ৫ জন ঠিকাদারের নিকট থেকে ২৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহন করেন কাজিপুর পৌরসভার ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন। কিন্ত অদ্যবধি কোন বিলের ব্যবস্থা করেন নি । শুধু কাল ক্ষেপন করে হঠাত বদলি হয়ে লাপাত্তা মেরে চলে যায় অন্য পৌরসভায়।
অনুসন্ধানে আরও চানচল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসলো সিরাজগঞ্জ মোহাম্মদ আলী এবং শাহীন ঠিকাদারদের সাথে যৌথ ঠিকাদারী রমরমা ব্যাবসাকার্যক্রম একচেটিয়া ভাবে করতেন ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন। কাজিপুর পৌরসভার স্থানীয় ঠিকাদারদের সুত্রে জানাগেছে কাজিপুর টিকাদারদের দরপত্রের মুল্য তালিকার চাইতে কমমুল্য দরপত্র দাখিল করতেন শাহীন ঠিকাদার এর নামে কাজ নিয়ে নিজেই কাজ করতেন রফিকুল ইসলাম লিটন ।
২০২০ সালে নগর উন্নয়ন প্রকল্পের সকল বরাদ্দ ঠিকাদারদের নিজ খরচে আনা হয়েছে কাজিপুর পৌরসভায় কিন্তু ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন কোন বিল ঠিকাদারদের প্রদান করেন নাই।
এডিবির বরাদ্দ প্রাপ্ত ২৮ লাখ টাকা দিয়ে পৌর হাটের নামে জমি ক্রয় করে।
জমি ক্রয় বাবদ ৬৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম।
পৌর বাসিন্দাদের একাধিক মৌখিক অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে বাড়ির প্লান পাশের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় কিন্ত প্লান পাশের কোন হদিস নেই বিপাকে পড়েন আবেদন কারীরা।
অপর দিকে ২০২৫ ইং সালে সদ্য রিপিশারিং কাজ আলমপুর চৌরাস্তা গোল চত্তর থেকে খুদবান্দি ঘাট পর্যন্ত টেন্ডার বিহীন প্রশাসক সহ ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম এর যোগ সাজসে রাস্তা রিপিয়ারিং করার নাম করে ২৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । উক্ত রাস্তার বেহাল দশার কারনে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সকল বিষয়ে ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন সাহেব কে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেন নাই ।
মধ্যেবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে সামান্য বেতার চাকরি করে সিরাজগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল দিতল আলীশান বাড়ি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ২৬ শতাংশ জমির উপর বহুতল মার্কেট নির্মান সহ
কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছে ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম আসলে তার আয়ের উত্স কোথায়?
কাজিপুর পৌরসভার ইন্জিনিয়ার মোঃ রফিকুল ইসলাম সাহেবের অবৈধ অর্থ বানিজ্যির গুপ্ত আমলনামা আর ও প্রকাশ হবে ২ য় পর্ব নিউজে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত