“আমি শুধু দলের এমপি হতে চাই না, শেরপুরের প্রতিটি মানুষের এমপি হতে চাই”- হাফেজ রাশেদুল ইসলাম
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
-
৭
বার পড়া হয়েছে

মোঃআনোয়ার হোসেন শেরপুর প্রতিনিধি:
“আমি শুধু দলের এমপি হতে চাই না, শেরপুরের প্রতিটি মানুষের এমপি হতে চাই”, আমি নির্বাচিত হলে শুধুমাত্র জামায়াতে ইসলামীর এমপি হবো না, শেরপুরবাসীর এমপি হিসেবে কাজ করব। ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় শেরপুর শহরের নিউ আলিশান অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে ‘শেরপুর-১ উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে শেরপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে স্বাস্থ্যখাতে গ্রাম পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে এবং একটি কার্যকর রেফারেল সিস্টেম চালু করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী হতে না হয়।
পাশাপাশি ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের সহায়তায় শেরপুরের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় যেখানে সাধারণত প্রার্থীরা একতরফা বক্তব্য প্রদান করেন, সেখানে শেরপুর-১ আসনে ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জামায়াতের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। গতানুগতিক জনসভার ধারা ভেঙে তিনি সরাসরি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ ও পরামর্শ শোনেন।
‘শেরপুর-১ উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও নারী অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে।
সভায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজেদের সমস্যা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, “জেলায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নেই। ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ সীমিত। এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিজ ও সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।”
নারীদের পক্ষ থেকে এক বক্তা বলেন, “মার্কেট, হাসপাতাল ও জনসমাগমস্থলে নারীদের জন্য নামাজ আদায়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। কর্মজীবী নারী ও জরুরি প্রয়োজনে বাইরে থাকা নারীদের ওয়াক্ত মতো নামাজ আদায়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।”
শিক্ষাক্ষেত্রের সংকট তুলে ধরে চরশেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে ঝরে পড়ছে বহু শিক্ষার্থী। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিও জানান তিনি।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রবাসীদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
এসময় অনেকেই লিখিতভাবে নিজেদের মতামত ও পরামর্শ জমা দেন। আয়োজকদের মতে, মৌখিক বক্তব্যের পাশাপাশি শত শত লিখিত প্রস্তাব জমা পড়েছে, যা শেরপুরবাসীর উন্নয়ন প্রত্যাশা ও অংশগ্রহণের আগ্রহের প্রতিফলন।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ বিভিন্ন ধর্ম ও মতের মানুষের অংশগ্রহণে সভাটি এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
সভা শেষে দুর্নীতিমুক্ত ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে আসন্ন নির্বাচনে সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন হাফেজ রাশেদুল ইসলাম।
‘শেরপুর-১ উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল আওয়াল, ডা. আনোয়ার হোসাইসন, সূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা জাকারিয়া আব্দুল বাতেন, সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নুরে আলম সিদ্দিক, পৌর শহর জামায়াতের আমির মাওলানা নুরুল আমীন সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন