তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি,নরসিংদী।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ফুডিস ৩৬৫ ফুডকাটে একদল চাঁদাবাজ গত ১০-১২-২০২৫ তারিখ রোজ বুধবার বিকাল ৪ঘটিকার সময় ৬ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবি করে দোকান তালাবদ্ধ করেদেয়। পরবর্তীতে এই তালা খুলতে হলে ৬লক্ষ টাকা দিয়ে খুলতে হবে বলে দেলোয়ার ও তার সহযোগী চাঁদাবাজরা হুমকী দিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর দোকানের স্টাফরা দোকানের মালিক কে ফোন করে ঘটনা জানালে, দোকানের মালিক রেলওয়ের ভেন্ডর শাকিলা ইয়াসমিন ভূ্ইয়া ঢাকা থেকে নরসিংদীর উদ্দেশ্য রওনা হয়, পরবর্তীতে আইনের সহযোগিতা নিতে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারের সহযোগিতা নিয়ে নরসিংদী মডেল থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় সুত্রে জানাযায় দোকানটি বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক শাখা হতে প্রথম শ্রেণির লাইসেন্সকৃত বৈধ দোকান হিসেবে রয়েছে। দোকান মালিক প্রতিবছর বাংলাদেশ রেলওয়েকে নিয়মিত বাৎসরিক রাজস্ব প্রদান করে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। স্থানীয় আশেপাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু দোকানদার বলছেন আমরা ভঁয়ে কিছু বলতে পারিনা, দোকান তালাদিয়ে তারা বিএনপির নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে চলে যায়। চাঁদাবাজরা দোকান তালাদিয়ে চলে যাওয়ার সময় সমঝোতার ভিতরে আসলে দোকান খোলা হবে এই কথা বলে একটি নাম্বার দিয়ে যায় যোগাযোগ করার জন্য। তখন রেলওয়ে পুলিশ, নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ, সাংবাদিক, ছাত্র প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আশেপাশের লোকজনের উপস্থিতি ও সহযোগিতা নিয়ে দোকান মালিক নিজেই দোকানের তালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেন। তালা ভাঙ্গার সময় ছাত্র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন নরসিংদী শহর যুবদলের আহবায়ক ও বিএনপি নেতা সুমন চৌধুরী, তিনি বলেন দোকান মালিকের সাথে আমাদের ব্যাক্তিগত অন্যদন্দ রয়েছে তবে দোকানের স্টাফদের সাথে কোনো দন্দনেই তারা চাইলে তাদের কে সহযোগিতা করব। তখন দোকানের মালিক ও তাদের মাঝে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হলে পুলিশ বিষয়টি সাময়িক সমাধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। তখন সকলের উপস্থিতিতে সুমন চৌধুরী বলেন আমি তাদের কে চিনিনা, আপনারা পারলে নাম্বার ট্রেস করে তাকে বের করেন। এই ঘটনার পর নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল ফারুকের নির্দেশনায় ৪৮ঘণ্টার ভিতরে অভিযুক্ত চাঁদাবাজ আসামী দেলোয়ার কে ১২-১২-২০২৫ রোজ শুক্রবার রাত আনুমানিক ১১ঘটিকার সময় নরসিংদী মডেল থানার একটি চৌকস টিম গ্রেফতার করেন। পুলিশ সুত্রে জানাযায় গ্রেফতারের পর ঐ চাঁদাবাজকে থানা থেকে ছাড়াতে রাতে নেতাকর্মী নিয়ে যুবদল নেতা সুমন চৌধুরী নরসিংদী মডেল থানায় অবস্থান করে ও আসামিকে ছাড়াতে বিভিন্ন তদবির ও সুপারিশ করেন। কিন্তু নাম্বার ট্রেস ও চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এই বিষয়ে মডেল থানা পুলিশ নিয়মিত মামলা রুজুর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এই ঘটনায় মামলার বাদী শাকিলা ইয়াসমিন বলেন যেখানে সরকার ও প্রশাসন চাঁদাবাজদের জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেখানে আমি চাই আইনতার সঠিক অবস্থানে থেকে দোষীকে শাস্তির আওতায় আনুক, তিনি আরও বলেন এই অভিযুক্ত ব্যাক্তির নামে থানায় বিভিন্ন মামলা রয়েছে, আমি চাই আইনের মাধ্যমে সে শাস্তিপাক, সেই সাথে তার সাথে যারা জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় আনা হোক, যেনো ভবিষ্যতে চাঁদাবাজরা আর চাঁদাবাজি করার আর কোনো সাহস না পায়। গ্রেফতারের পর উল্লেখিত বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানায় অদ্য ১৩-১২-২০২৫ রোজ শনিবার দুপুরে ১৪৩/৪৪৭/৩৮৫/৫০৬ ধারায় চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাহার মামলা নম্বর ২১/৪৬১