দীর্ঘ ১৩ মাস পর দেশে ফিরলেন কুড়িগ্রামের ৬ মৎস্যজীবী
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
-
৬
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আনোয়ার হোসেন শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে দীর্ঘ ১৩ মাস সাজাভোগের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার সন্ধ্যায় শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তাদের বাংলাদেশের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা মৎস্যজীবীরা হলেনঃ
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার পূর্ব মুদাখানা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রাসেল (৩৫) একই উপজেলার ব্যাঙমারিপাড়া গ্রামের বাহাদুরের ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫)
নতুন ব্যাপারিপাড়া গ্রামের ইছাহাক আলীর দুই ছেলে মীর জানান (৪৫) ও বকুল মিয়া (৩২)
ব্যাপারিপাড়া গ্রামের ফকির আলীর ছেলে আবেদ আলী (৩৫) রৌমারী উপজেলার বকবকান ব্যাপারিপাড়া গ্রামের হালিম উদ্দিনের ছেলে চান মিয়া (৬০)
বিজিবি জানায়, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর মাছ ধরতে গিয়ে তারা ভুলবশত সামান্য অতিক্রম করে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন। এসময় বিএসএফ ও স্থানীয় পুলিশ তাদের আটক করে এবং আদালতের রায়ে তাদের ১৩ মাস সাজা ভোগ করতে হয়।
সাজা শেষে ফেরত প্রদানের উদ্যোগ নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে ঘিরে নাকুগাঁও সীমান্তে বিজিবি–বিএসএফের আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এইসময় বাংলাদেশ পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমান, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান’সহ বিজিবির হাতিপাগার বিওপির ক্যাম্প কমান্ডারসহ অন্যান্য সদস্যরা।
ভারতের পক্ষের নেতৃত্ব দেন বিএসএফের তুরা ক্যাম্প অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার সাখাওয়াত হোসেন।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৬ মৎস্যজীবীকে তাদের আপনজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন