অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত ২ হাজার ৩২৬ শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান, দেওয়া হলো বিশেষ অ্যাওয়ার্ড
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
-
২
বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: মো: আল-আমীন আহমেদ, ঢাকা।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ।
সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আনম এহসানুল হক মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এম. শামসুল আলম লিটন ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “তোমরাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর। জুলাই আন্দোলনে তোমাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ।” তিনি আরও বলেন, জ্ঞান ও উদ্ভাবন সমৃদ্ধ করাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য, এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাবর্তন বক্তা ড. আনম এহসানুল হক মিলন নবীন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, “গ্রাজুয়েশন হলো শেষ নয়, বরং নতুন যাত্রার শুরু। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে সাফল্য পেতে হলে অব্যাহত প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম, সহনশীলতা ও অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতীশ দীপঙ্করের নাম-যশ ধারণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উপযোগী নাগরিক তৈরি করবে। তিনি একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষতা–ভিত্তিক কারিকুলামের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. শামসুল আলম লিটন বলেন, “আজ আমাদের জন্য গর্বের দিন। তবে একই সাথে বাড়ছে দায়িত্বও।” দেশের ৪০ লাখ বেকারের বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (এসডিআই)।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সমাজের প্রয়োজন প্রগতিশীল, দায়িত্বশীল, মানবিক ও দক্ষ স্নাতক। সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতা অর্জনের মাধ্যমেই সাফল্য সম্ভব। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকেরা দেশের কল্যাণে কাজ করে প্রতিষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করবে।
চীফ একাডেমিক এডভাইজার অধ্যাপক ড. এবিএম শহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের সফলতাই আমাদের সফলতা। পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।”
সমাবর্তনে চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ গ্রাজুয়েট ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করেন। পাশাপাশি ২৭ শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড ৬ জন, বিওটি চেয়ারম্যান’স অ্যাওয়ার্ড ৫ জন এবং ভাইস চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ১৬ জন। মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বিশেষ লেজার শো অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন