প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১০:৪৩ এ.এম
ময়মনসিংহের মানবিক পুলিশ এস আই আব্দুর রহিম অন্যায়ের বিরুদ্ধে অকুতোভয় সৈনিক
মোঃ রুবেল মিয়া, ময়মনসিংহ উপজেলা প্রতিনিধি |
‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’—এই স্লোগানটি কেবল কথার কথা নয়, বরং নিজের কর্ম ও সততা দিয়ে তা প্রমাণ করে চলেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এস আই) মো. আব্দুর রহিম। অপরাধীদের কাছে তিনি যেমন আতঙ্কের নাম, তেমনি অসহায় ও বিচারপ্রার্থী মানুষের কাছে তিনি এক নির্ভরতার প্রতীক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে তিনি যেমন কঠোর, তেমনি মানবিকতায় তিনি অনন্য।
সততা ও সাহসিকতার মূর্ত প্রতীক
এস আই আব্দুর রহিম ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় যোগদানের পর থেকেই তাঁর সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে সকলের নজর কেড়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা আপসহীন। মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাস, ইভটিজিং কিংবা কিশোর গ্যাং—সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি এক অকুতোভয় সৈনিক। কোনো প্রকার হুমকি বা প্রলোভন তাঁকে তাঁর দায়িত্ব থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। তাঁর এই নির্ভীক অবস্থানের কারণেই এলাকার অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
অসহায় মানুষের ‘দেবদূত’
একজন পুলিশ অফিসারের পোশাকের আড়ালে যে একটি কোমল মানবিক হৃদয় থাকতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এস আই আব্দুর রহিম। থানায় আসা অসহায়, দরিদ্র ও নির্যাতুত মানুষগুলো তাঁর কাছে পায় পরম মমতা ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা। গতানুগতিক পুলিশিংয়ের বাইরে গিয়ে তিনি মানুষের কষ্টের কথা শোনেন এবং আইনি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও তাদের পাশে দাঁড়ান। এলাকাবাসীর মতে, তিনি সাধারণ মানুষের জন্য এক ‘দেবদূত’ স্বরুপ।
সমাজ পরিবর্তনে পুলিশিং দর্শন
এস আই আব্দুর রহিম বিশ্বাস করেন, কেবল লাঠি বা বন্দুক দিয়ে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়; এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং মানুষের আস্থা অর্জন। তিনি মনে করেন, একজন পুলিশ অফিসার চাইলে সমাজের অন্যায়-অত্যাচার আমূল বদলে দিতে পারেন। তার কার্যক্রমে ফুটে ওঠে সমাজ পরিবর্তনের সেই প্রয়াস:
নিরপেক্ষ তদন্ত: মামলার তদন্তে তিনি সর্বদা নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন, যাতে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
দ্রুত সাড়া প্রদান: যেকোনো বিপদে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়া তাঁর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
জনসচেতনতা: অপরাধ দমনের পাশাপাশি তিনি নিয়মিত বিট পুলিশিং ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষকে আইন মান্য করতে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
বর্তমানে পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার যে সংগ্রাম চলছে, সেই সংগ্রামে এস আই আব্দুর রহিম একজন সম্মুখযোদ্ধা। তাঁর মতো সৎ, নির্ভীক এবং মানবিক পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ব। এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতে, প্রতিটি থানায় যদি এস আই আব্দুর রহিমের মতো একজন করে অফিসার থাকেন, তবে সমাজ থেকে অন্যায়-অবিচার দূর হতে সময় লাগবে না।
দেশ ও দশের সেবায় এস আই আব্দুর রহিমের এই পথচলা অব্যাহত থাকুক—এটাই ময়মনসিংহবাসীর প্রত্যাশা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত