প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ৬:৫৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ২:৪৯ পি.এম
ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ে ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি মারুফ হাসান নাঈম
শাল-গজারিসহ নানা রকমের গাছপালা সমৃদ্ধ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া-কামালপুর সড়কে ‘শেরপুর হাফ ম্যারাথন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটায় শীতের কুয়াশা মাড়িয়ে সড়কটির রাংটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৮০০ নারী-পুরুষ রানার। সেখান থেকে শুরু হয় ‘হাফ ম্যারাথন’। পরে ওই সড়কে ১০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরের তাওয়াকুচা এলাকা থেকে ইউট্রান নিয়ে পুনরায় বিদ্যালয় মাঠে শেষ করে ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন।
এবছর ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে অংশ নেন জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহŸায়ক মো. আবু রায়হান রুপন প্রমুখ।
এছাড়া আরও ১ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটারের অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে অংশ নেন শিশু, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া বেদে পল্লী, হরিজন পল্লী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক। উৎসুক দর্শনার্থীরাও পাহাড়ি পথে অবস্থান নেন প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে।
ইভেন্ট শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ম্যারাথন সমন্বয়ক রাজিয়া সামাদ ডালিয়া ও আয়োজক কমিটির প্রতিনিধিরা। অংশগ্রহণকারী এবং দর্শনার্থীদের মতে, প্রকৃতি ও খেলাধুলার অপূর্ব সমন্বয়ে গারো পাহাড়ে এই ম্যারাথন হয়ে উঠেছে স্মরণীয় এক আয়োজন।
২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ম্যারাথনের সড়কটি ছিল গারো পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি ঢাল আর উঁচুনিচু পথ অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালেও মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি সেই ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে বলে জানান তারা।
শেরপুর রানার্স কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী আল-আমিন সেলিম বলেন, জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরতে, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, গারো পাহাড় এবং প্রাণী রক্ষা করতে ‘শেরপুর রানার্স কমিউনিটি’ তৃতীয়বারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, যুবসমাজ দিন দিন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। তাদের খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ পথে ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য। ম্যারাথনে নিরাপত্তা ও চিকিৎসাসেবার জন্য ছিল পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সার্বিক সহযোগিতাও ছিল প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত