সাব্বিরের ভয়াবহ, অত্যাচার ও নির্যাতনে, স্ত্রী মিম খুন
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
-
৭
বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :মোঃ নাজির খান
দুই নভেম্বর, রোজ রবিবার, রাত আনুমানিক, ১০ ঘটিকার সময়, মাসদাইল ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ,
মিম ২৪, পিতা, কবির হোসেন, মাতা ,রনি, মাসদাইল ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জে,
তিন মাস পূর্বে, সাব্বির হোসেন হৃদয়, শিবু মার্কেট ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জে, বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হন,
বিয়ের পর থেকে, সাব্বির হোসেন তার স্ত্রী মীমকে, যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত, নির্যাতন জুলুম ও অত্যাচার চালিয়ে আসছিলেন,
রাত দশটার সময়, মিম তার মা রনিকে, মুটো ফোনে জানান, তার স্বামী তাকে অনেক অত্যাচার করিতেছে তার বাসায় নিয়ে আসার জন্য,
তার মা তৎক্ষণ, তারে মেয়ে মিমের বাসায় যান, গিয়ে দেখেন সে সাব্বিরের অত্যাচারে নির্যাতনে, বিছানায় কাতরাচ্ছেন, এমন অবস্থায় মা তাকে রিকশায় করে তার বাসায় মাসদাইল নিয়ে আসে,
তার কিছুক্ষণ পরে, মিমের স্বামীর সাব্বির হোসেন হৃদয়, মিম এর মার বাসায় এসে, মার সামনে মেয়েকে, আত্মকৃতভাবে, কিল ঘুষি মারতে থাকে, শরীরের এমন কোন জায়গা নেই, মারার চিহ্ন বাকি আছে,
নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে, স্ত্রী মিম ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিলে, কিছুক্ষণ পর তাহার মৃত্যু হয়
মিমের আত্মীয়-স্বজনরা, নারায়ণগঞ্জ খানপুর তিনশ শজ্জা হসপিটালে, রাত্রে ১১ঃ৩০ মিনিটে নিয়ে গেলে, কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করে,
তখন সাব্বির হোসেন হৃদয় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে, সাব্বির তখন পালানোর চেষ্টা করলে তাহার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ঘিরে ফেলে,
এবং একপর্যায়ে সাব্বিরের বন্ধু-বান্ধব সাব্বিরকে ছাড়াই নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে এবং মিমের আত্মীয়-স্বজনের উপরে আঘাত পর্যন্ত করে,
পরবর্তীতে ফতুল্লা থানার এসআই মোঃ ওয়াসিমের নেতৃত্বে একটি টিম, মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন হৃদয় কে থানার হেফাজতে নিয়ে যান,
ফতুল্লা থানায় নেওয়ার পর, মীমের মা অভিযোগ করতে গেলে, সাব্বিরের কিছু বন্ধুবান্ধব, মীমের মাইকে ভয় দেখিয়ে, এবং ফতুল্লা থানায় তাহার অভিযোগ গ্রহণ করেননি,
পরবর্তীতে তালাশ বিডি নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি দলের সহযোগিতায় দুইটা পাঁচচল্লিশ মিনিটে প্রায় 2 ঘণ্টা পর অভিযোগটি গ্রহণ করেন,
তারপরও সাব্বিরের বন্ধুবান্ধব মোঃ শাহাবুদ্দিন পরিচয়ে আসামীর বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে, মাই টিভির সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে, মামলা না করার হুমকি প্রদান করে আসিতেছে, প্রয়োজনে ১০০ সাংবাদিক নাকি আসামি সাব্বিরের পক্ষে কাজ করে তাকে মুক্ত করবেন বলে অবহিত করেন।
খানপুর জেনারেল হাসপাতাল গিয়ে জানতে পারি, মিমের লাশ ময়না তদন্ত বিহীন প্রেরণ করার চেষ্টা চলছিল, তখন মিমের আত্মীয়-স্বজনকে তালাশ বিডি প্রতিনিধি জিজ্ঞেস করলে তারা ময়নাতদন্ত করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন,
পরবর্তীতে এসআই ওয়াসিমের নেতৃত্বে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুরগির পাঠানো হয়।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন