
সামিরুল হক বাছির মাহমুদ সুনামগঞ্জ ( ধর্মপাশা) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা হলরুলে বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল পৌনে পাঁচটায় নেত্রকোণা সড়ক ও জনপথের দায়িত্বশীল দুই প্রকৌশলীর সাথে নাগরিক অধিকার আনদোলনের সদস্যদের মুক্ত আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনি রায়, বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক এস এম রহমত, প্রিন্ট ও মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ ও নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সদস্যবৃন্দ।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে গাছতলা পর্যন্ত প্রধান সড়ক দ্রুত ও মানসম্মতভাবে পুনর্নির্মাণের দাবিতে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) ধর্মপাশা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ এ কর্মসূচীর আয়োজন করেছিল। এ আন্দোলনে
‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন’ ঘোষণার দিয়েছিল “আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই সড়কের সমস্যার সুরাহা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচী দিবো।’’
৭২ ঘন্টার মধ্যে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই নেত্রকোণা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম হোসেন মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
নাগরিক অধিকার আনদোলনের সদস্য যোবায়ের আলম সূচনায় কবে নাগাদ রাস্তার কাজ শুরু হবে জানতে চান।
নাগরিক অধিকার আনদোলনের সভাপতি মুফতি মোল্লা মাহমুদ হাসান প্রশ্ন করেন,”আগামী ১ মাসের মধ্যে কেন রাস্তার কাজ করা সম্ভব নয়?”
জবাবে প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম জানান, “ধর্মপাশা হতে গাছতলা বাজারের ৯ কি.মি. রাস্তার জন্য ১৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দু মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।”
ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম রহমত বলেন, “উক্ত রাস্তার সামনে ফ্যাসিস্ট এমপি ১৬ বছর রাজত্ব করলেও রাস্তাটি কোনো উন্নয়ন করেননি। আমরা আশা করছি পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির কাজ খুব শীগ্রই শুরু হবে।”
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ রাস্তাটি যেন মানসম্মত ও টেকসই রাস্তা হয় সেই দিকটাই গুরুত্ব আরোপ করেন।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনি রায় জানান,”মুক্ত আলোচনায় তথ্যের যে গ্যাপ ছিল তা আজ আমাদের সকলের উপস্থিতিতে অনেকটা লাগব হয়েছে। আশা করছি এ রাস্তার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।”