মো লুৎফুর রহমান রাকিব আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি।
একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করে দেশের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় স্থান করে নেওয়া একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী এম এ ইউসুফ আলী। শুধু এখানেই শেষ নয় ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় ইউসুফ আলী বিশ্বের ৩৪৯তম ধনী এবং মধ্যপ্রাচ্যে শীর্ষ ভারতীয় ধনী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। বলছিলাম বিখ্যাত লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেরালার এম এ ইউসুফ আলীর কথা। লুলু মল প্রচারের আলোয় আসে আর এস এসের আক্রমণের মাধ্যমে। অভিযোগ ছিলো, উত্তর প্রদেশে লুলু মলের ভেতরে একজন গ্রাহকের নামাজ পড়াকে নিয়ে। লুলু মলের মূল কর্তা এম এ ইউসুফ আলী যিনি কেরালা রাজ্যের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬১,২৫৭ কোটি টাকা। ১৯৫৫ সালে কেরালার ত্রিশুরে জন্মগ্রহণকারী ইউসুফ আলী ১৯৭৩ সালে এক আত্মীয়ের মুদি দোকানে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক শপিং মল খুলে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন সারা বিশ্বে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে এই লুলু মল। বর্তমানে লুলু গ্রুপ গুজরাটের আহমেদাবাদে ৩'৫০,০০০ বর্গফুট আয়তনের একটি মল খুলছে, যা হবে ভারতের সবথেকে বড় শপিং মল। এই মলের জন্য ৫১৯ কোটি টাকার জমি অধিগ্রহণ করেছেন ইউসুফ আলী। ৪০০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে ভারতের সর্ববৃহৎ এই মল, যার কাজ শুরু হয় ২০২৪ সাল থেকে। এই মলে ৩০০ টিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, আইম্যাক্স সহ ১৫টি স্ক্রিনের একটি মাল্টিপ্লেক্স, একটি বড় ফুড কোর্ট এবং একটি শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র থাকবে। যেখানে একসঙ্গে কাজ করবেন ১২,০০০ লোক। পদ্মশ্রী পুরষ্কারে ভূষিত বিজনেস টাইকুন এম এ ইউসুফ আলী এক সাক্ষাৎকারে বলেন তাঁর ব্যবসা জীবনের অনুপ্রেরণা মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাঃ, যিনি প্রথম জীবনে ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি শিখিয়েছিলেন কিভাবে সৎপথে ব্যবসা করে সফল হওয়া যায়। ইউসুফ আলী বলেন লুলু মল মানুষকে ন্যায্য দামে উন্নতমানের বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করে কমদিনের মধ্যে সকলের কাছে আস্থাভাজন হয়ে উঠে। এবং তিনি সর্বদা নিজের কর্মে সৎ থাকতে চান বলে জানান।