কুমিল্লা লাকসাম ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আমিনুল কবিরের চাঁদাবাজি
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
-
৫
বার পড়া হয়েছে

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার
লাকসাম ট্রাফিক জোনের
ইন্সপেক্টর আমিনুল কবির ও গুটিকয়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের যোগসাজশে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাকসাম বাইপাস সড়কসহ একাধিক সড়কে দাঁড়িয়ে কাগজপত্র পরিক্ষার নামে চাঁদাবাজি অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ভোর ৬টা থেকেই বিভিন্ন লাইসেন্স দেখার নামে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী বড় কাবার্ড ভ্যান, ট্রাক, মিনি পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালককে আটক স্লিপ দেখিয়ে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন অভিযুক্তরা। পরে চালকের অসহায়ত্বের সুযোগে হাতিয়ে নেন ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এমনকি, গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক থাকলেও কোনো না কোনো অজুহাতে ১০০ টাকা হলেও আদায় করার অভিযোগ আমিনুলসহ একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
তথ্য আছে, যেসব কোম্পানির একাধিক গাড়ি আছে সেসব কোম্পানি থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করেন তারা।
স্থানীয় একজন জানান, ভোর না হতেই উনারা পুলিশ বক্সে এসে বিভিন্ন যানবাহন দাঁড় করিয়ে টাকা নিতে দেখা যায়। এদিকে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাইপাস চৌরাস্তা হতে জেনারেল হসপিটাল পর্যন্ত জ্যাম লেগে থাকে। ওনারা তখন কোথায় থাকে, ওনারা সারাদিন উল্লেখযোগ্য কিছু পয়েন্টে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। এখানে যে চারজন আছে তারা ঠিকমতো চৌরাস্তায় যদি ভালোভাবে ডিউটি করে বাইপাস কোনদিনও জ্যাম লাগে না। আসলে ওনারা তো যানজট নিরসন করতে আসে না, উনারা আসে ধান্দা করার জন্য নিজের পকেট ভারি করার জন্য।
এ ব্যাপারে লাকসাম ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর আমিনুল কবিরের সাথে কথা বললে তিনি জানন, আমাদের সদস্যরা রাস্তায় অবৈধ যানবাহন চলাচল রোধ করতে কাজ করছে। কোনো গাড়ির কাগজপত্র ঠিক না থাকলে জরিমানা করা হচ্ছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন