জমির লোভে বড় ভাই ও ভাতিজার হাতে আপন ছোট ভাই খুন।
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
-
৩
বার পড়া হয়েছে
Oplus_16908288

অভিযান নিউজ টিভি স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ এনামুল হক বিপ্লব। টংগী,গাজীপুর। অর্থ ও সম্পতির জন্য জীবন দিতে হলো অসহায় ও সহজ সরল মনের একজন মানুষ নাম তার হাব্বুল। এমনই এক ঘটনা ঘটিয়েছে রংপুর জেলার বদরগন্জ থানার ধাপেরডাংগা গ্রামের (১) আমিনুল ইসলাম(৫০) পিতা: মো: ফাকসা কবিরাজ (২)বায়োজিদ রুবেল পিতা: আমিনুল ইসলাম (৩) মোছাঃ রুপালি বেগম। জানা গেছে, আমিনুল ইসলামের আপন ছোট ভাই মৃত হাব্বুল কে আজ থেকে ৫ বছর আগে তার গ্রামের বাড়ীর নিজ গোয়াল ঘরে রাত আনুমানিক ৪-৪.৩০ এম ঘটিকার সময় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরে ফেলে এই তিনজন। এ সময় হাব্বুলের স্তী তার দুই সন্তান হিয়া মনি ও জুয়েলকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন।ঘুম থেকে উঠে দেখে তার স্বামী গোয়াল ঘরে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায়। হাব্বুলের স্ত্রী মোছাঃ আদুরী বেগমের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে এই ঘটনার পর উপরে অভিযুক্ত তিনজন তার কান্নার আওয়াজ শুনে দৌড়ে চলে আসে এবং আদুরীকে চুপ থাকতে বলে এমনকি বিষয় টি থানা পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে। এরপর আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলে লাশ নামিয়ে রাতের অন্ধকারে কবর দিয়ে দেয়। এতে প্রতিয়মান হয় যে এই খুনের জন্য উপরে উল্লেখযোগ্য তিনজন জড়িত। কারণ লাশ আইনানুযায়ী পুলিশে সোপর্দ করার কথা তাহলে গোপন রাখলো কেন? এমনটাই অভিযোগ করেছেন মৃত হাব্বুলের স্ত্রী আদুরী বেগম। লাশ কবর দেওয়ার কিছুদিন পর আদুরী বেগমকে তার মৃত স্বামীর বাড়ী নানা অমানবিক নিষ্ঠুর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে বাড়ী হতে বের করে দেয়। এমনকি সমাজের মধ্যে যেন কোন আলোচনা সমালোচনায় না হয় সে মৃত হাব্বুলের দুই সন্তান হিয়া মনি ও জুয়েলকে খুনিরা কাছে রেখে হাব্বুলের সমস্ত সম্পতি ভোগ করে আসছে এই খুনি পরিবার। এ বিষয়ে ১ নং অভিযুক্ত ব্যাক্তির সাথে মুটো ফোনে কথা বলতে চাইলে সে কোন কথা বলতে রাজি না এবং ফোন কেটে দেয়। ঘটনা জটিল মনে হলে অভিযান নিউজ টিভির স্টাফ রিপোর্টার আমিনুল ইসলামের বিষয় খবর নিয়ে জানতে পারে যে সে ছোটকাল হতেই খুনি ও লোভি স্বভাবের যার জন্য তার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত আছে বাল্যকালের কুকর্মের জন্য। এছাড়াও আমিনুল ইসলাম তার বড় মেয়েকে দিয়ে হাতিয়ে নিয়ে কয়েক লাখ টাকা। তার বড় মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও তার স্বামী টংগীতে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টস চাকরি করতো। তার মেয়েকে হাতে রেখে তাদের চাকুরী জীবনের সমস্ত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে আয়েশা’র স্বামীর সাথে কথা বললে জানা যায়- আয়েশা ব্রাকের কুতুবপুর বগুড়া শাখা হতে টাকা নিয়েছে ৩ লাখ, ব্রাকের জোড়গাছা বগুড়া শাখা হতে টাকা নিয়েছে ৫০ হাজার, গাকা সমিতির কুতুবপুর শাখা হতে টাকা নিয়েছে ৮০ হাজার টংগীর চেরাগআলী এক এনজুও হতে টাকা নিয়েছে ৫০ হাজার এছাড়াও তার নিজ কর্মস্থল হতে তার বান্ধবী মোছঃ সুমানা আক্তার হতে নেওয়া ২০ হাজার, শারমিনের কাছ হতে নিয়েছে ৫ হাজার এছাড়াও আমার জীবনের সমস্ত বেতন ঢুকতো আমার স্ত্রীর রোকেট একাউন্টে, যার প্রমাণ রোকেট কোম্পানি হতে আপনারা চাইলেই নিতে পারবেন। আমার শরীরে অসুস্থ দেখা দিলে সে আমাকে একটি থ্রি কোয়ার্টার প্যান ও পরনে একটি গেঞ্জি রেখে বাসার সমস্ত মালছামানা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়েও আমিনুল ইসলাম বলেন – আয়েশা আমার মেয়ে না, ও আমার বাড়ীতে নাই অতচঃ গোপনে এনজিও কর্মি আয়েশা আক্তারকে আমিনুল ইসলামের বাসায় দেখে এসেছে এমনকি আমিনুল ইসলাম কে নাজমা নামে এক মেয়ে ফোন দিলে নাজমাকে বলে আয়েশাকে বিয়ে দিয়েছে সে এখন শ্বশ্বড় বাড়ী এমনকি আয়েশার সমস্ত কাপড় ছিলো আয়েশার ফুফাতো বোন হাজেরার বাসায় সেখান হতে আমিনুল ইসলাম তার ছোট্ট ছেলে সোহেলকে দিয়ে সব কাপড় ও নিয়ে যায়। বর্তমানে আয়েশার আমিনুল ইসলামের বাসায় থাকা সত্ত্বেও তার মিথ্যা কথা প্রমাণিত হয় সে এই সব অর্থও ভোগ করে আসিতেছে। এ বিষয়ে গাজীপুর জয়দেবপুর কোর্টে একটি হত্যা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও আয়শা সিদ্দিকার নামে বগুড়া হতে এনজিও কর্তৃক মামলা করা হয়েছে যার গাকের মামলায় ওয়ারেন্ট বের হয়ে গেছে বাকিগুলোয় একটু সময় লাগবে। এ বিষয়ে বদরগন্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন- আমার থানায় অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট আসামাত্রই সাথে সাথে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন