ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুরে গৃহবূধ’র ম*রদে*হ উদ্ধার, স্বজনদের দাবী হ*ত্যা
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫
-
৯
বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:তাজলিমা খাতুন।
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের গবিন্দপুর আলিম মাদ্রাসার (কৃষি বিভাগের) সহকারী শিক্ষিকা আই বি ডেজি ওরফে (জেসমিন) নামের এক গৃহবধূর ম*র*দেহ উদ্ধার করে ধনবাড়ী থানা পুলিশ।জানা যায়, বিগত তিন বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার রশিদপুর ইউনিয়নের আব্দুল মালেকর ছেলে সেনা সদস্য রুবেল আহমেদ এর সাথে ডেজির বিবাহ সম্পন্ন হয়।বিবাহর পর মাদ্রাসার চাকরির যাতায়াতের সুবাদের লক্ষ্যে তারা ধনবাড়ী উপজেলার যদুনাথপুর ইউনিয়নের নেটাটমশারা নতুন বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়।ডেজি সংসারের উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে নিজ বাসাতেই হোমিও চিকিৎসা দিয়ে থাকতেন।নি*হত গৃহবধূর স্বামী রুবেল আহমেদ জানান, আমি গত ২৯ সেপ্টেম্বর পূজার ছুটিতে নেটামশরা নতুন বাজার ভাড়া বাসায় আসি। বাসায় আসার পর জমির খারিজ নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। এই কাজের ফাঁকে আমার স্ত্রী ডেজি আমাকে একাধিক বার ফোন দেয় আমি ফোন ধরতে না পারায় এ নিয়ে আমাদের মাঝে বাগবিত*ণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমি বাসা থেকে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল আনতে বাজারে যাই। বাজার থেকে ফিরে এসে আমার স্ত্রীকে একাধিক বার ডাকাডাকি করি এক পযার্য়ে কোন সাড়া না পেয়ে বাসার অপজিট পাশের দরজা দিয়ে রুমে গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী ডেজি নাইলনের রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। এমন অবস্থা দেখে আমি তাড়াহুড়ো করে তার ঝু*লন্ত দে*হটি বিছানায় নামিয়ে আনি। নামানের পর বুকে হাত দিয়ে দেখি সে তখনও মা*রা যায় নি, তারপর আমি মাথায় পানি দেই, হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ভ্যান আনতে গিয়ে বাহিরে ছুটে যাই। এ পযন্ত আমি জানি।এ ব্যাপারে নি*হত গৃহবধূর ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম মিজান গণমাধ্যমকে অভিযোগ করে জানান,আমার বোন মৃ*ত্যুর গত ছয় মাস পূর্বে লিখিত একটি কাগজে যৌ*তুক, ডেইজির বেতনের টাকা, এবং রুবেলের রেশন কার্ডে আমার নাম না থাকা অন্য এক মহিলার নাম এসব অভিযোগ করেন। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝ*গড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।আমাদের দাবি ডেইজি আ*ত্মহ*ত্যা করেনি, তাকে হ*ত্যা করা হয়েছে, আমরা এ হ*ত্যার বিচার চাই।এ ব্যাপারে নি*হত গৃহবধূ ডেইজির বড় বোন জামাই নুরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে আমার স্ত্রী ডেজির বড় বোন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় ডেইজি মা*রা গেছে, সাথে সাথে আমি ধনবাড়ী থানায় অবগত করি। আমি এখানে এসে দেখি আমার শালিকা মৃ*ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে রুবেল ও লা*শের পাশেই সুয়ে আছে। তাদের সংসার আগেই থেকেই উওপ্ত ছিল। আমার শালিকাকে রুবেল বিভিন্ন সময় মা*রধর করতো এবং হু*মকি দিতো তোকে মেরেই আমি জেলে যাবো, আমার মনে হয় এটি একটি পরিকল্পিত হ*ত্যা। আমরা ধনবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করবো।এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন আমরা তদন্ত করছি ম*য়নাত*দন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত বলা যাবে। অভিযান নিউজ টিভি সংবাদ ধনবাড়ী টাঙ্গাইল।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন