প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৮, ২০২৫, ৮:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ১১:৪৭ এ.এম
পূজার কেনাকাটায় ক্রেতা টানতে পোশাকের দোকানে অফারের ছড়াছড়ি
মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র আটদিন বাকি। উৎসবকে সামনে রেখে খুলনাসহ উপজেলার বিভিন্ন বিপণিবিতান ও ফ্যাশন হাউজে চলছে কেনাকাটা। পূজা ঘিরে নানান অফার ও নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছে বড় ব্র্যান্ডগুলো। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার বড় বাজার, ডাকবাংলা মোড়, নিউমার্কেটের বিপণিবিতান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় এখনো তুলনামূলক কম। দু-একজন ক্রেতা জামা–জুতা দেখে পছন্দ করছেন, কেউ আবার কিনে নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সন্ধ্যার পর থেকে বিক্রি বাড়ছে, আজ থেকে কেনাকাটা জমে উঠবে বলে তাদের আশা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। পূজা ঘিরে নানান অফার ও নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছে বড় ব্র্যান্ডগুলো। ক্রেতারাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কেনাকাটায়। নিউমার্কেটে জামা কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী দিপালি সরকার। তিনি বলেন, দুই মেয়ের জামা-জুতা কেনার পর আত্মীয়–স্বজনের জন্য কাপড় কিনবো। এরপর নিজের জন্য দেখবো। দামও মোটামুটি ঠিক আছে। পূজা উপলক্ষে নতুন জুতা এনেছে বাটা। বিক্রয়কর্মী হাসান জানান, নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্য নানান ধরনের জুতার সমাহার রয়েছে। এছাড়া প্রিমিয়াম কালেকশনও এসেছে, যার দাম শুরু হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ টাকা। শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া ব্যাগ ও কসমেটিকস ভালো চলছে। শাড়ির দাম ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা এবং বাচ্চাদের জামা এক হাজার ৫০০ থেকে ৩পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন বিপণিবিতান রঙিন থ্রি-পিস, জামদানি, কাতান, তাঁতের শাড়ি ও লেহেঙ্গার সমৃদ্ধ কালেকশন সাজিয়েছে। শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী জোসেফ বলেন, পূজায় খুব আহামরি বেচাকেনা হয় না, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হয়। মূলত শাড়ি ও পাঞ্জাবিই বেশি চলে। ছাড়ের কারণে অন্য ধর্মের মানুষেরাও কেনাকাটা করেন।ক্রেতারাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কেনাকাটায়। দাকোপ থেকে আসারা সুমন সরকার বলেন, পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনেছি। নিজের জন্য শার্ট, মেয়ের জন্য টপস ও থ্রি-পিস, ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি। এখন শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়-স্বজনের জন্যও নিতে হবে। অশোক মন্ডল বলেন, এবার গ্রামের বাড়ি বাজুয়ায় পূজা করবো। তাই পরিবারের সবার জন্য কাপড় কিনেছি। মায়ের জন্য শাড়ি, বাবার জন্য পাঞ্জাবি ও জুতা নিয়েছি। গরমের কথা মাথায় রেখে হালকা ও সুতি কাপড় বেছে নিয়েছি। বিক্রেতারা বলছেন, পূজার আগে শেষ সপ্তাহে বিক্রির গতি বাড়বে। সন্ধ্যার পর থেকে বাজার জমে উঠছে। আশা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনে পূজার বাজারে ভিড় আরও বাড়বে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত