প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ১১:৪৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ৬:৩৩ এ.এম
কয়লা দূষণ থেকে সুন্দরবন, ইলিশ ও লবণ রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
মোঃ শামীম হোসেন- স্টাফ রিপোর্টার
কয়লা দূষণের হাত থেকে সুন্দরবন, ইলিশ ও লবণ রক্ষার দাবিতে প্রতীকী প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে ২০টি সংগঠন। (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকাস্থ শ্যামলী পার্ক মাঠে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।সমাবেশে অংশ নেয়া সংগঠনগুলো হলো ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, ব্রাইটার্স, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফিয়ারিক পলিউশন অ্যান্ড স্টাডিজ (ক্যাপস), ক্লাইমেট ফ্রন্টিয়ার, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি), এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভস (ইআরডিএ), ইক্যুইটি বিডি, গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি (জিএলটিএস), খাসিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, ওএবি ফাউন্ডেশন, রিভার বাংলা, রিভারাইন পিপল, সচেতন ফাউন্ডেশন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইয়ুথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইয়ং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ও থ্রিফিফটি ডট ওআরজি (৩৫০.ওআরজি)। ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সদস্য সচিব শরীফ জামিল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এসএম বদরুল আলম, এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভসের (ইআরডিএ) নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন চৌধুরী, রিভারাইন পিপলের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, ইক্যুইটি বিডি এর পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, শহিদ হোসেন, সিপিআরডি এর প্রতিনিধি ইমরান হোসেন ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন শাখা প্রধান ইকবাল ফারুক প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) সহ-আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী বলেন, ‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই অবিলম্বে কয়লা থেকে বেরিয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের রূপরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নয়, যেকোনো কারণেই সুন্দরবন, ইলিশ ও লবণের মত অমূল্য সম্পদ নষ্ট করাকে কেউ সমর্থন করতে পারে না। সুন্দরবন না থাকলে সমগ্র দক্ষিণ বাংলা বিপন্ন হবে, তাই সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করতে হবে। অপরদিকে ইলিশ আমাদের অমূল্য জাতীয় সম্পদ। ইলিশ চলাচলের পথ বন্ধ করে তালতলির বরিশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কলাপাড়ার পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন জাতীয় স্বার্থ ও জন আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। পাশাপাশি মাছে ভাতে বাঙালির ঘরে লবণ ছাড়া আমাদের একদিনও চলবে না। ফলে লবণ বাঁচাতে বাঁশখালি ও মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও তৎসংলগ্ন শিল্পায়ন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এসএম বদরুল আলম বলেন, ‘কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে অনেক দেশই বেরিয়ে আসার চেষ্টায় সফল হয়েছে। কিন্তু আমরা এর ব্যবহার বাড়িয়ে চলেছি।’ তিনি বিপর্যয় থেকে মুক্ত হতে সঠিক পথনকশা প্রণয়নের আহ্বান জানান।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত