প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ২১, ২০২৫, ৫:৫২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২১, ২০২৫, ৫:২৯ এ.এম
ঝিনাইগাতীতে সবজির দাম বাড়ছে হু হু করে দিশেহারা সাধারণ মানুষ
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রতিনিধি মারুফ হাসান নাঈম
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সর্বত্র হু হু করে বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম! এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। তাদের জন্য সবজির দাম বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদের পর থেকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে সবজি সহ বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের দাম। বেড়েছে চাল-ডাল, ডিজেল-বিদ্যুৎ, মাছ-মাংস, বস্ত্র, ওষুধ, প্রসাধনীসহ সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম এখন আকাশচুম্বী। এমতাবস্থায় দরিদ্র অতিদরিদ্র খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্ত পরিবারে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তাদের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজার ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দামই বেড়েছে। বেগুনের কেজি ৭০-৮০ টাকা, মুলার কেজি ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা, ধুন্দল, শসার কেজি ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স, পটল, কাকরোলের কেজি ৭০-৮০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা পেঁপের কেজি ৪০-৫০ টাকা। লাউ ৭০- ৮০ টাকা প্রতিটি। বরবটি প্রতিকেজি ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৫০ টাকা, কচুমুখীর কেজি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, শাক সবজি দাম শুনে চোখ কপালে উঠে যাচ্ছে। এক সপ্তাহেই সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০/ ২০ টাকা কি ভাবে বাড়ে? বেগুনের দাম ও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। শুধু আলু ব্যতীত সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ আলু আর পেঁপে ছাড়া যেন অন্য সব সবজি কেনা বাদই দিচ্ছে। অন্যান্য ক্রেতাদের বক্তব্য হচ্ছে এখন আর এক কেজি করে সবজি কিনতে পারেন না। বাধ্য হয়ে আধা কেজি করে সবজি কিনতে হচ্ছে। তবে আলু আর পেঁপে মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে তারা জানান। সবজি বিক্রেতা হাশেম আলী বলেন, বর্ষার কারণে পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্রেতাই সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। আগে যারা ২/৩ কেজি করে সবজি কিনতেন। তারা এখন কেনেন আধা কেজি করে। ফলে তাদের বিক্রি ও মুনাফা কম হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা ও দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রতিটি পণ্যের দাম যদি সহনীয় পর্যায়ে থাকে তবে মানুষের জীবনে স্বস্তিতে আসে। দাম ঊর্ধ্বগতি থাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে হতাশা আর অশান্তি সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস ওঠেছে। তাদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্তরা ও ভীষণ বেকায়দায় পড়েছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টির কারণে সব্জির দাম বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টি কমে গেলেই দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত