শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহত সাংবাদিক সহ কোন শ্রেনী পেশার মানুষকে চিকিৎসা দেয়নি যেন প্রতারণা এবং মৃত্যুর অরেক নাম!
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট, ২০২৫
-
৩৬
বার পড়া হয়েছে
Oplus_16908288

মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলাই গন অভ্যুত্থানের সাংবাদিক, পুলিশ, ছাত্রছাত্র, জনতা, বরিশালে যারা আহত হয়েছে তার মধ্যে আমি সাংবাদিক মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব, বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, অভিযান নিউজ টিভি। সরকারী রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার-১৩৩, (অনলাইন) নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব আমি বরিশাল চৌমাথা থেকে নথুল্লাবাদ এর দিকে বিভিন্ন ভিডিও সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রচারণা করার সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে হঠাৎই আমি তার ভিডিও নিউজ করতে গিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হই তাতে আমার ডান পা এবং কোমরে প্রচুর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেছিলাম তখন রাত আনুমানিক ২:০০-২:৩০ মিনিট এরপর কে বা কারা আমাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেখে গেছেন সেটা আমি জানিনা, কিন্তু জ্ঞান ফেরার পরে আমার সবকিছুই মনে পরলে আমি দেখি যে আমি শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে একটি বেডে, এবং আমার আমার ডান পা এবং কোমর সোজা করতে পারছিলাম না এবং হাটতে পারছিলাম না এবং ডান পা এবং কোমর ফুলে গিয়েছে কিন্তু কোন ডক্টর এবং নার্স এসে আমাকে চিকিৎসা দেয়নি।দুনিয়ায় আমার আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত দুই বোন এবং দুই ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রী ছাড়া কেউ নেই মা-বাবা দুজনই ২০২৪খ্রী. ইন্তেকাল করেন যার ফলে আমি এতিম ও অনাথ হয়ে দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালা বাচিঁয়ে রেখেছেন আল-হামদুলিল্লাহ। কিন্তু সেই বিপদে আমার পাশে আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত দুনিয়ার কেউ ছিল না। ০৩-০৭-২০২৪খ্রী. রাত আনুমানিক ৩:৩০-৪:০০ ঘটিকা পর্যন্ত কোন চিকিৎসা সেবা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাইনি, পরের দিন সকাল ১০:০০ ঘটিকার পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল এর দুজন ছাত্রছাত্রী একজন নার্স এসে পরীক্ষা নিরিক্ষা এবং ব্যাথা নিরাময়ের ঔষধ লিখে দেয় কিন্তু কোন একজন ডক্টর আমি এক সপ্তাহে দেখতে পাইনি, বরিশাল শের-ই মেডিকেল কলেজ এর ছাত্রছাত্রী এবং নার্স এসে দেখে শুধু সাদা কাগজে ঔষধ পথ্য লিখে সেগুলো বাহির থেকে ক্রয় করে খেতে হয়েছে এবং তার কোন চিকিৎসা পত্রে কোন চিকিৎসা এবং ঔষধের নাম লিখেননি কোন ডক্টর এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন চিকিৎসা সেবা নেই আছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিছু ছাত্রছাত্রীগন দ্বারা রোগীদের ভুলভাল চিকিৎসা ও বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা দিয়েই তাদের দ্বায়িত্ব শেষ।আমি বিগত ০৩-০৭-২০২৪খ্রী. রাতে আহত হই রাত ২:৩০-৩:০০ টার দিকে এবং সাথে সাথে আমাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী ওয়ার্ডে একটি বেডে রেখে গিয়েছিল কে বা কারা সেটা আমি জানতে পারিনি কিন্তু জ্ঞান ফেরার পরে আমি সেদিন রাতে কাউকেই পাইনি এবং কোন চিকিৎসা সেবাও পাইনি তারপর পরের দিন ০৪-০৭০২০২৪ খ্রী. বেলা আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকার দিকে দুজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুজন ছাত্রছাত্রী এবং একজন নার্স এসে দেখে সাদা কাগজে লিখে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে চলে যায় এইভাবেই এক সপ্তাহ আমি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে আমাকে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা দিলে সেগুলোও বাহিরে করাতে হয়েছে দালালদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে করিয়েছিলাম, এবং কিছু ঔষধ পথ্য ক্রয় করে খাওয়ার পরে আমার মেয়ে খবর শুনে তার এক বান্দবীকে নিয়ে আমাকে দেখতে যায় আমার মেয়ে ইংরেজিতে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন এরপর ১০-০৭-২০২৪ খ্রী. আমি নিজেই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে এরপর আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে আসি এবং প্রাইভেট ভাবে ডক্টর দেখাই রিংরোড শ্যামলী ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে তারপর সাভার সি আর পি হসপিটাল ও রিং রোডের একটি ফিজিও থেরাপি সেন্টারে চিকিৎসা নিতে থাকি আমার কোন ভাই নেই এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আমার সমস্যা বুঝার মত কেউ ছিল না যার ফলে আমি সাংবাদিক হয়েও জুলাইয়ের একজন আহত সাংবাদিক মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব, বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, অভিযান নিউজ টিভি।একজন গণমাধ্যমকর্মী এবং সাংবাদিক হিসেবে আমি সাংবাদিক মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব কেন বার বার ইলেকট্রনিকস মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়া অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত করার পরেও কেন আমি আমার চিকিৎসার জন্য সরকারী এবং কোন দলীয় অনুদান চিকিৎসার জন্য পাইনি। আমি এখনো ঠিক ভাবে হাটতে পারছি না কোমর ব্যাথার কারনে বিছানায় ঘুমাতে পারিনা পা এবং কোমরে প্রচুর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সেই ব্যাথার কারনে আজও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে এবং ঔষধ পথ্য ক্রয় ক খেতে হচ্ছে আমার মা-বাবা দুজনই ২০২৪ সনে দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন মা ১০ই জানুয়ারী -২০২৪ এবং আব্বা ১৬ই ডিসেম্বর-১০২৪খ্রী. কিন্তু আমি আমার অসুস্থতা অবস্থায় আমি আমার মা-বাবার চিকিৎসা ঔষধ পথ্য ক্রয় করে খাওয়ায়েছি এবং নিজের চিকিৎসার খরচ চালিয়েছি এগুলো সবই আল্লাহ তায়ালা চালিয়েছেন এবং বিভিন্ন অফিস থেকে আমাকে টুকটাক আর্থিক সাহায্য করেছে তাই দিয়ে মোটামুটি কিছুটা চিকিৎসা চালাতে পেরেছি।একদিকে তিন বছর যাবত আমার মা-বাবা দুজনই স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পরে ছিলেন এরপর আমার উপর জুলাই আন্দোলনের সময় হামলার স্বীকার একজন সাংবাদিক মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব ভীষণ অসুস্থ তাই আমি সঠিক চিকিৎসা আজও পাচ্ছি না এবং আমার ক্যামেরা, মোবাইল সহ চিকিৎসার সকল কাগজপত্র ব্যাগ সহ হারিয়ে যাওয়ায় আমি কোন প্রমাণ পত্র কাউকেই দেখাতে পারছি না যার ফলে আমি সরকারী এবং কোন দলীয় নেতা-কর্মীদের থেকে অদ্যাবধি কোন প্রকার অর্থ চিকিৎসার জন্য পাইনি এবং শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়না শুধু টাকা আর টাকা দিয়ে ঔষধ পথ্য ক্রয়, পরীক্ষা নিরিক্ষা হাসপাতালের বাহিরে প্রাইভেট ভাবে করাতে হয় তাহলে সরকার এত কোটি কোটি টাকা খরচ কেন করছেন সরকারী হাসপাতাল গুলোর পিছনে সারা বাংলাদেশের সকল সরকারী হাসপাতালের যেন
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন