তালাত মাহামুদ বিশেষ প্রতিনিধি
উত্তরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের যৌথ অভিযানে RAB (1-7) গত শনিবার ৯ আগস্ট অলি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আপেল মাহমুদ সাদেক (৪২) সহ তিনজনকে ।চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- নরসিংদী সদর থানার করিমপুর এলাকার আব্দুল মোতালেবের ছেলে আপেল মাহমুদ সাদেক (৪২), মজনু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রনি (২৫) ও শাওন বেগম (৩২)। নিহত অলি মিয়া একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে। তারা সবাই টঙ্গী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।গ্রেপ্তারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানায় নরসিংদীর একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় আগে থেকেই তাঁরা পূর্বপরিচিত ছিলেন। একসঙ্গে চলাফেরা করতেন নিকটতম আত্বিয়ের মতন। একে অন্যের বাসায় ছিল যাতায়াত। নিহত অলি আসামি আপেল মাহমুদ সাদেকের স্ত্রীর চরিত্র সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন। এতে সাদেক উত্তেজিত হন। পরে সাদেক ও সাজ্জাদ হোসেন রনি মিলে অলিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ৬ আগস্ট কৌশলে টঙ্গীর বনমালা রেলগেট এলাকায় সাদেকের ভাড়া বাসায় অলিকে আনা হয়। এরপর সাদেক ও সাজ্জাদ মিলে অলিকে ট্রেনের নীচে ফেলে হত্যা করতে রেললাইনে নিয়ে যান। কিন্তু ওই সময় কোনো ট্রেন না থাকায় অলিকে নিয়ে সাদেকের বাসায় ফিরে আসেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর সাদেক ও রনি রুমের দরজা বন্ধ করে প্রথমে অলির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে তার লাশ ৮ টুকরা করেন এবং মাথাটি শরীর থেকে আলাদা করে পলিথিনে পেঁচিয়ে একটি ব্যাগের ভেতরে ভরে টয়লেটের ফলস ছাদে রেখে ছিলেন।