চৌদ্দগ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ৩ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫
-
২
বার পড়া হয়েছে

মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আমান উল্লাহ হৃদয় নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর ৩ লক্ষাধিক টাকার চাষের মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকালে উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের বুধড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ‘স্বপ্ন এগ্রো’ এর মালিক ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ হৃদয় চৌদ্দগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের বুধড়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মো: আমান উল্লাহ হৃদয় ব্যাংক ঋণ তুলে এবং নিজ অর্থায়নে নিজ বাড়ীর পাশের একটি পুকুর লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত তিন-চার মাস পূর্বে ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ ওই পুকুরে তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, কালি বাউশ, পাঙ্গাস সহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের মাছ চাষ করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ চাষকৃত মাছগুলোকে দৈনিক হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমানের খাবার যত্ম সহকারে খাইয়ে বৃদ্ধি নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সঠিক পরিচর্যায় মাছগুলো বেড়ে উঠছিলো। নির্ধারিত সাইজ এবং ওজন নিশ্চিত হলে আগামী মাসেই মাছগুলো পাইকারী বাজারে বিক্রির কথা ছিলো। এরই মধ্যে গত রোববার দিনের কোনো এক সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মাছ চাষকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। বিকালে স্থানীয়রা পুকুরের পানিতে মাছ ভাসতে দেখে ব্যবসায়ী আমান উল্লাহকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। পরে বড় জালের সহায়তায় ভাসমান মৃত মাছগুলো পাড়ে তুলেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী মো: আমান উল্লাহ হৃদয় জানান, কয়েক বছর পূর্বে স্থানীয় জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং নিজস্ব অর্থায়নে পুকুরটি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। পুকুরে বেশিরভাগ মাছই দেশীয় প্রজাতির ছিল। চার মাস আগেই নতুন করে মানসম্মত পোনা মাছ ফেলি। এর মধ্যে মাছগুলোকে যথাযথ পরিচর্যা করি, পরিমান মত খাবার দেই। আর কিছুদিন পরেই মাছগুলো উপজেলার বিভিন্ন পাইকারী মৎস্য বাজারে সরবরাহ করার কথা ছিলো। কিন্তু রবিবার বিকেলে আমার সেই আশা মাটির সাথে মিশিয়ে দিল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।তিনি আরও জানান, এলাকার কারো সাথে আমার কোন শত্রæতা নেই। এ জীবনে আমি কারো কোনো ক্ষতি করেছি বলেও জানা নেই।। কেন তারা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মারলো। কি অপরাধ ছিলো আমার? আমাকে কেন পথে নামিয়ে দিল তারা? এ সময় তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও থানা প্রশাসন সহ সরকারের কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে যাতে দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয় এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের উপযুক্ত সাজা নিশ্চিত করা হয়।এই বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘গুনবতীতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের সংবাদটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। ভুক্তভোগি কর্তৃক অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগিকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন