প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০২৫, ২:৩৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৬, ২০২৫, ৩:২৩ পি.এম
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: শেখ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী
ভাটেরা স্টেশন বাজারের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা বহাল তবিয়তেই রয়ে গেছে।বাজারের কয়েকজন লিজপ্রাপ্ত মালিক নিজ উদ্যোগে অবৈধ অংশ ভেঙে ফেললেও—একটি প্রভাবশালী মহল নানাভাবে স্থাপনাগুলো টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এই বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে স্টেশনবাজার বণিক সমিতির সভাপতি শেখ আকমল হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রনি হাসান সালামসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে দখলদারদের জানিয়ে দেওয়া হয়।পরবর্তী সময়ে বণিক সমিতির অনুরোধে আরও ৩ দিনের সময় বাড়ানো হলেও সেই সময়সীমাও শেষ হয়েছে আজ।এ বিষয়ে ভাটেরা রেলওয়ে স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ জিকির হাসান বলেন—“সমস্ত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিতে হবে। আমি ভাটেরায় আসার পর দেখছি, রেললাইনের পূর্ব পাশে বাজার থাকায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা রেললাইনের পাশ দিয়ে চলাচল করে। হঠাৎ ট্রেন এলে দাড়ানোর মতো কোনো জায়গা থাকে না। আমি চেষ্টা করছি যাতে বাজার কমিটি ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে রেললাইনের পাশ দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা যায়।”এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু অবৈধ স্থাপনার দখলদার এখনো তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এবং রেলওয়ের ভেতরের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঘুষের মাধ্যমে স্থাপনাগুলো বহাল রাখার চেষ্টা করছেন।এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে গুঞ্জন উঠেছে—কিছু দালাল শ্রেণির ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনাকে “ঠিক” করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অর্থ আদান-প্রদান করছেন। এতে করে রেলওয়ের ভূমি ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ছে, স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে।তারা দ্রুত কার্যকর উচ্ছেদ অভিযানের দাবি জানিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।এখন দেখার বিষয়—রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আদৌ যথাযথ পদক্ষেপ নেয় কি না, নাকি কালো টাকার জোরে অবৈধ স্থাপনাগুলো আবারও টিকে যায়!
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত