প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২৭, ২০২৫, ৩:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২৬, ২০২৫, ৫:৪৯ এ.এম
কিশোরগঞ্জ শহরের পরিচিত মুখ একজন মানবিক”শহীদ পাগলা”
গত ১৯ জুলাই ছিলো তাঁর ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ৮০ ও ৯০ দশকে কিশোরগঞ্জ শহরের অলিতে-গলিতে প্রায়শই একটি রিকশা মধ্যে বসা এই মহতী ব্যক্তিত্বকে দেখেছি একটি মাউথপিস নিয়ে সুমধুর উচ্চকণ্ঠে গরীব,অসহায় বিশেষ করে মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য কালেকশন করতে। একটি বাশের পাতিতে তিনি দান নিতেন। অকাতরে মানুষ তাঁর কথায় দান করতেন।ঐ সময়ে শহরে তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত মুখ।সকলের প্রিয় শহীদ ভাই,শহীদ পাগলা। উনার চেহারায় এক রহস্যময় মানবিকতার জৌলুষ ছিলো।তাঁকে দেখা মাত্র যে কোন মানুষের তাঁরদিকে এক পলক না তাকানো অসম্ভব ছিলো। তাঁর চোখে ছিলো অসম্ভব এক অজানা রহস্যময়তা। আমার জানামতে নিঃস্বার্থ ভাবে তাঁর কালেকশনের টাকা শহরের হাজার হাজার গরীব,অসহায় মানুষের সাহায্যে অবদান রেখেছে। বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে তাঁর অবদান কিশোরগঞ্জ বাসীর কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।আজকাল স্বার্থপর পৃথিবীতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কিভাবে নিঃস্বার্থ ভাবে ইসলামের সেবা করা যায়।আাশা করা যায়,তিনি আল্লার নৈকট্য লাভকারী একজন মহতী ব্যক্তিত্ব।কারন আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে তাঁর ইবাদত করার জন্য। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় এই কাজটি সুচারুভাবে করেছেন। জানা যায় তিনি একাধারে বার বছর সিয়াম সাধনা করেছিলেন। তিনি তাঁর মহতী কৃতিত্বের জন্য কিশোরগঞ্জ বাসীর হৃদয়ে চিরদিন অমলিন থাকবেন।তিনি আমার হৃদয়ে গ্রন্থিত একজন ঐশ্বরিক মানুষ।আমি তাঁর বিদেহী আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি।মহান আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন,,বেহেশত নসিব করুন। আমিন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত