বরগুনা জেলার আমতলীতে মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে নির্যাতন এবং আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর পিতা
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
-
৬
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামে এক মাদরাসা ছাত্রীকে নাঈম হাওলাদার (১৫) নামে এক বখাটে ধর্ষণ চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হওয়ায় যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আদালতে মামলার মামলার পর এটি এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য আমতলী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস।মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই সোমবার বিকেলে আমতলী উপজেলার চাউলা গ্রামের নূরানী মাদরাসায় পড়–য়া প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী ওই গ্রামের প্রতিবেশী নজমুল হাওলাদারের বাড়িতে খেলতে যান। খেলা শেষে বাড়িতে ফেরার সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাজমুল হাওলাদারের বখাটে ছেলে মো. নাঈম হাওলাদার (১৫) মেয়েটিকে ঝাপটে ধরে তার শরীর এবং পরনের কাপর চোপর ছিরে ফেলে এবং ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ধর্ষনে ব্যার্থ হয়ে এক পর্যায়ে নাঈম হাওলাদার মেয়েটির যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুটিয়ে দেয়। এসময় রক্তক্ষরন শুরু হলে মেয়েটি যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে ডাক চিৎকার শুরু করেন। ডাকচিৎকার শুনে মেয়েটির বাবা মা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তারা আসার পরই নাঈম পালিয়ে যায়। অভিভাবকরা মেয়েটিকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় নাঈম হাওলাদারের পরিবারের লোকজন ঘটনাধামা চাপা দিতে তাদের উপর হামলা করে বলেও মেয়েটির বাবা মা অভিযোগ করেন। পরে রক্তাত্ব অবস্থায় ওই দিন রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় মেয়েটিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। মেয়েটি এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তার বাবা।
এঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির বাবা গত ২১ জুলাই বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য আদেশ প্রদান করেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত নাঈম পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।নির্যাতিত মেয়েটর বাবা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশী প্রভাবশালী নুর জামাল হাওলাদারের বখাটে ছেলে আমার মেয়েকে আটকিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এসময় সে পরনের কাপর চোপর ছিরে ফালায়। ধর্ষন করতে না পেরে যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয়। এতে মেয়েটি গুরুতর আহত হয়ে এখন পটুয়াখালী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ভুক্তভোগীর পিতা এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে।আমতলী থানার ওসি তদন্ত আমির হোসেন বলেন, এখনো আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পাইনি। পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশ মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন