সাংবাদিকতার মুখোশে এক ভয়ঙ্কর প্রতারক: রিয়াদ মিয়ার ঘুষ-বাণিজ্য ও নৈতিক স্খলন ও মিথ্যা সংবাদের দায়ে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫
-
৩
বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ রুবেল মিয়া
পবিত্র সাংবাদিকতা পেশাকে কলুষিত করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের এক নগ্ন উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন মোঃ রিয়াদ মিয়া নামের এক কথিত সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল, ঘুষ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতার মতো মারাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। অর্থের বিনিময়ে সংবাদকে পণ্য বানিয়ে তিনি একদিকে যেমন নীতিহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন, তেমনই অন্যদিকে কলুষিত করছেন গণমাধ্যমের মতো একটি সংবেদনশীল মাধ্যমকে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রিয়াদ মিয়ার কার্যপ্রণালী অত্যন্ত সরল ও ধূর্ততায় পূর্ণ। মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে তিনি যেকোনো ব্যক্তিকে ‘অসংখ্য গুণের অধিকারী’ হিসেবে প্রচার করতে দ্বিধা করেন না। অর্থের পরিমাণ বাড়লে সেই ব্যক্তি তার কলমের খোঁচায় ‘ফেরেশতা’ উপাধিও পেয়ে যান, যা তিনি নির্লজ্জভাবে নিজের ফেসবুক পোস্টে প্রচার করেন। এর মাধ্যমে তিনি সমাজে দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরির অপচেষ্টা চালান।
অন্যদিকে, যারা তার অনৈতিক দাবিপূরণে অস্বীকৃতি জানান, তারাই হয়ে ওঠেন তার বিদ্বেষমূলক লেখনীর শিকার। কোনো সৎ ও নির্দোষ ব্যক্তিকেও তিনি মুহূর্তের মধ্যে ‘সমাজের নিকৃষ্টতম লোক’ হিসেবে চিত্রায়িত করতে সিদ্ধহস্ত। তার লেখনী তখন ব্যক্তিগত আক্রোশের অস্ত্রে পরিণত হয়।রিয়াদ মিয়ার সুবিধাবাদী চরিত্রেরও প্রমাণ মেলে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায়। তিনি গিরগিটির মতো রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রঙ বদলান। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তিনি ‘নিকটাত্মীয়’ ও ‘নির্দোষ’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাফাই গেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তার এক পোস্টে উল্লেখ করেন, “শহীদ কাকা খুব ভালো লোক আর দোসর হিসেবে চিহ্নিত চেয়ারম্যান কাকা আরও ভালো।” তাকে ঘুস দিতে অস্বীকার করায়,আওয়ামিলীগ সমর্থন করেন অথচ একজন সৎ নিষ্ঠাবান শিক্ষক জনাব মোঃ মাহাবুব আলম রাসেল স্যারের বিরুদ্ধে এনেছেন বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ।এর মাধ্যমে তিনি প্রকাশ্যেই দুর্নীতির সহযোগীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, যা সাংবাদিকতার নীতিমালার লঙ্ঘন।
কথিত এই সাংবাদিকের অতীতও বিতর্কমুক্ত নয়। উপরন্তু, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের মতো গুরুতর অভিযোগে তাকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কর্তৃক গ্রেফতারও হতে হয়েছিল। বারবার আইন লঙ্ঘন করেও তিনি সাংবাদিকতার মতো একটি মহান পেশার নাম ব্যবহার করে নিজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
রিয়াদ মিয়ার এই কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত নৈতিক স্খলন নয়, বরং এটি সমগ্র সাংবাদিকতা পেশার জন্য একটি অশনিসংকেত। তার মতো নামধারী ও নীতিহীন ব্যক্তিদের কারণে গণমাধ্যমের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। এ ধরনের ‘সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য বন্ধে এবং সাংবাদিকতার সম্মান রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন