 
    
     প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ২:৪১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২২, ২০২৫, ৬:২২ এ.এম
 বিমান দুর্ঘটনায় শরীয়তপুরে তিনজনের মৃত্যু: শোকের ছায়া নেমে এলো 
  
          
  
        
    
    সিরাজুল ইসলাম জেলাপ্রতিনিধি,শরীয়তপুর
গতকাল উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে এন্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশ কেঁদেছে। এই দুর্ঘটনায় শরীয়তপুরের সখিপুরের তিন কৃতী সন্তান চিরতরে হারিয়ে গেলেন। শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, তাঁর কন্যা এবং পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ সামী - যার শরীরের ৮০% পুড়ে গিয়েছিল - তারা আজ আমাদের মাঝে নেই।শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন ছিলেন জ্ঞানের আলো বিতরণকারী এক মেন্টর। তাঁর কন্যা ছিলেন পরিবারের আশার প্রতীক। আর আব্দুল্লাহ সামী? সে তো ছিল এক উজ্জ্বল তারকা, যে প্রতিদিন স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্বপ্ন নিয়ে ঘর থেকে বের হতো। আজ সেই ব্যাগটি আর কখনোই বহন করা হবে না। 
এই তালিকায় আরো নাম জুড়ে গেছে - নূরজাহান বেগম (৪৫), যিনি তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে এসেছিলেন; রিয়াদ হোসেন (১২), যে ক্লাসে প্রথম হতো; এবং ফারহানা আক্তার (৩৫), স্কুলের সেই রসবোধ সম্পন্ন শিক্ষিকা। প্রতিটি নামই এক একটি ইতিহাস, এক একটি অসমাপ্ত গল্প।গতকাল দুপুর ছিল স্বাভাবিক। কেউ জানত না, এই দুপুরে কতগুলো প্রাণ ঝরে যাবে। স্কুলের ঘণ্টা বাজতে না বাজতেই আকাশ থেকে নেমে এলো মৃত্যুর ছায়া। বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এখনো যেন চিৎকার করে বলছে - "এটাই কি আমাদের ভাগ্য ছিল?" 
আজ আমরা শুধু মোমবাতি জ্বালাবো না, শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাস দেবো না। আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে - এই মৃত্যুগুলো যেন বৃথা না যায়। এই শিশুরা যেন আমাদের বিবেকের মশাল হয়ে জ্বলে। 
আল্লাহ পাক নিহতদের জান্নাত নসীব করুন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা দিন। আর যারা আজ বুক ভরা কষ্ট নিয়ে ঘরে ফিরেছেন, তাদের ধৈর্যধারণের শক্তি দিন। আমিন।
 
    
        
             © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত