রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে একজনের ১০দিনের কারাদণ্ড
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
-
৩
বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইগাতি উপজেলা প্রতিনিধি মারুফ হাসান নাইম
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে মো. আরিফ (২০) নামের এক ব্যক্তিকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বগাডুবি এলাকায় অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম রাসেল এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত দুইটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ছড়া ও গারো পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেল।অভিযানকালে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের অভিযোগে মো. আরিফকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সেইসঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে তিনটি অটোভ্যান ও একটি বালুবোঝাই মাহিন্দ্র ট্রাক্টর আটক করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সোমেশ্বরী নদীর আয়নাপুর এলাকায় একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার, কয়েকশ মিটার প্লাস্টিকের পাইপ ও বালু উত্তোলনের জন্য বাঁশের নির্মিত টাওয়ার ধ্বংস করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৮ এপ্রিল শেরপুরের জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ধারা ৯(৪) অনুযায়ী ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার সকল বালুমহাল বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপরও প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট রাতের আঁধারে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল, ছড়া ও গারো পাহারের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দিনে-রাতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানকালে ঝিনাইগাতী থানার পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার সদস্যরা আদালতকে সহযোগিতা প্রদান করেন।ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, প্রশাসনের অভিযানের ফলে বালু উত্তোলন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ কাজে জড়িতদের জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নদী ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং বালু উত্তোলন বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন