প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫
-
২
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
চাকরির ক্ষেত্রে ‘ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি (কম্বাইন্ড) ডিগ্রিধারীরা অগ্রাধিকার পাবে’—মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিক্ষোভ করেছে অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি এনএসভিএম অনুষদের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদীয় মেইন গেটে গিয়ে শেষ হয়।পরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. এইচ. কাওসার, ডেইরি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন এবং অ্যানিমেল নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. ননী গোপাল সাহা। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য সদস্যসহ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি ডিসিপ্লিনের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আবদুল্লাহ হিল কাফি বলেন, “রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের একজন প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টার কাছ থেকে এ ধরনের একপেশে মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়। বাস্তবতা যাচাই না করে এমন বক্তব্য দিলে তা খাতটির জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।”পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রির শিক্ষার্থীরা পোল্ট্রি, ডেইরি, নিউট্রিশন, ব্রিডিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে। চিকিৎসার পাশাপাশি উৎপাদনেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অথচ একপক্ষকে অগ্রাধিকার দিলে খাতটির ভারসাম্য নষ্ট হবে।”সমাবেশে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. এইচ. কাওসার বলেন, “বর্তমানে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি—উভয় ক্ষেত্রেরই অবদান গুরুত্বপূর্ণ। অথচ একচোখা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেওয়া বক্তব্য পেশাগত বৈষম্য তৈরি করে। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন