প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৯, ২০২৫, ৫:১৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৯, ২০২৫, ৩:২৭ পি.এম
মসজিদের ছাদে ড্রাগন ফলের বাগান: শিবচরে সানি ইমামের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
শেখ জায়েদ মাদারীপুর প্রতিনিধি:
একজন ইমামের পরিচয় শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ নয়—এটা প্রমাণ করেছেন মাদারীপুরের শিবচরের চক বাজার জামে মসজিদের সানি ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম। মসজিদের খেদমতের পাশাপাশি তিনি সময় দেন গাছের পরিচর্যায়। আর সেই প্রচেষ্টা থেকেই গড়ে তুলেছেন এক দৃষ্টিনন্দন ড্রাগন ফলের বাগান, তাও আবার মসজিদের ছাদে।প্রায় তিন বছর আগে তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে আনেন মাত্র চারটি ড্রাগন ফলের চারা। সেই চারটি গাছই এখন পরিণত হয়েছে একটি ছোটখাটো ফলবাগানে। ছাদের চারপাশে সাজানো হয়েছে গাছগুলিকে এমনভাবে, যাতে ফলন ভালো হয় এবং পরিবেশটাও থাকে সবুজ-মনোরম।শুধু ড্রাগন ফলই নয়, ছাদের এক কোণায় তিনি বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করছেন শখের বসে। গাছপালার যত্ন, পাখিদের খাবার দেওয়া—সবকিছু করছেন নিজের হাতে, নিজের ভালোবাসায়।মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন,“মসজিদে ইমামতি করাটা আমার দায়িত্ব ও সওয়াবের কাজ। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অবসর সময়ে যদি কিছু উপকারী কাজ করি, তাহলে সমাজও উপকৃত হবে, আমিও উপকৃত হব।”তিনি আরও বলেন,“অনেক মসজিদের ছাদ অথবা আশেপাশে খালি জায়গা থাকে। ইমাম সাহেবরা চাইলে সেই জায়গাগুলোতে সামান্য শ্রম দিয়ে এমন ফল বা সবজির বাগান গড়ে তুলতে পারেন। এতে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা পায়, তেমনি কিছু বাড়তি আয়ও হতে পারে।"এই ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুধু কর্মসংস্থানই নয়, বরং একটি ইতিবাচক বার্তা দেয় পুরো সমাজকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সৌন্দর্যবর্ধন ও ব্যবহারিক উপযোগিতাও বাড়ায়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ফলচাষ ও ছাদ কৃষির প্রতি আগ্রহ তৈরির দৃষ্টান্ত হতে পারে এই উদাহরণ।স্থানীয়দের মতে, ইমাম রফিকুল ইসলামের এ উদ্যোগ অনুকরণীয়। যদি দেশের প্রতিটি মসজিদের ছাদে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তা পরিবেশ, পুষ্টি ও আত্মনির্ভরশীলতার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত