প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৫, ১:৩৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ৮, ২০২৫, ৫:৩৬ এ.এম
পাঁচ শিক্ষকের বিদ্যালয়, তিন ক্লাস মিলিয়ে হাজির ৬ শিশু এবং নেই কোন তদারকি এবং উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বরত অফিসারদের গাফেলতি ও উপরী (ঘুশ) পাওনা
মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার ৯৯ নম্বর উত্তর পূর্ব ছোট কৈবর্তখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিয়ে সংকট এবং অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সাহিদা খানমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।উত্তর পূর্ব ছোট কৈবর্তখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা দপ্তর থেকে আজ সোমবার প্রধান শিক্ষককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সরকারি ল্যাপটপটি বাসায় রেখে তা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।স্থানীয় অভিভাবক ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যালয়টিতে শৃঙ্খলা ও পাঠদানের পরিবেশ নেই। শিশুরা নিয়মিত স্কুলে না গেলেও তাদের ফেরাতে তেমন মনোযোগ দেওয়া হয় না শিক্ষকদের পক্ষ থেকে।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিই। স্কুলে গিয়ে বাস্তব চিত্র যাচাই করা হবে। প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক সাহিদা বলেন, ‘আমি মূল্যায়ন পরীক্ষার কাজ করছিলাম বলে ল্যাপটপটি বাসায় রেখেছিলাম।’ আর ভুলবশত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির খাতায় নাম ওঠানো হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।আমি বরিশাল বিভাগ ঘুরে দেখেছি এবং জানতে পেরেছি যে বরিশাল বিভাগের ভোলা, পটুয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, গলাচিপা, বরগুনা, ঝালকাঠি সহ বরিশাল বিভাগের ৭৫% প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্কুলে না গিয়ে প্রতি মাসের বেতন ভাতা সরকারী অনুদানের টাকা স্কুলে ১৫-৩০ জনের বেশী ছাত্রছাত্রী নেই যেখানে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না ৭৫% স্কুলেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষা ব্যাবস্থা।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটি উপজেলা দ্বায়িত্বরত অফিসারগন এর নেই কোন তদারকি তারা প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর মাধ্যমে স্কুলের দপ্তরী নিয়োগ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান এবং ছাত্রছাত্রী কমপক্ষে ৫০ জনের নিচে থাকলে সেই স্কুল এর বেতন ভাতা বন্ধ সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ করে দেয়ার আইন থাকলেও পি আই ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বরত অফিসারগন টাকা খেয়ে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল অপরাধ এর সাথে জড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বরত অফিসার গন যথাযথভাবে দ্বায়িত্ব পালন না করায় আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুন্য শিক্ষকদের সঠিকভাবে স্কুলে না আসা এইসব দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি এবং এই ব্যাপারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেলা প্রাথমিক অফিস ও কোন প্রকার তদারকি না করায় চলছে শিক্ষকদের দুর্নীতি।এইসব কোমলমতি শিশুদের হাতেখড়িতেই যদি এই ধরনের অপকর্ম ও দুর্নীতি ও শিক্ষার নামে বানিজ্য চালাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন এবং একটা ইউনিয়নে কতগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে সেটা হিসাব করে দেখতে পাবেন যে এক একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিছনে প্রতি বছরে কত কোটি টাকা খরচ করছে বাংলাদেশ সরকার সহ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের গাফেলতির কারণে এই ধরনের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার সঠিক পাঠদান করা হচ্ছে না তাই এই ব্যাপারে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক সহ স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন স্কুলে আসে ১১:০০ টায় এবং দুপুর হলেই চলে যায় তাই এই ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্কুলের কোন প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কোমলমতি শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি নিয়েও অভিযোগ দিয়েছেন এবং স্থানীয় লোকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্কুলের তদারকির জন্য যে সকল অফিসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় জনসাধারণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন। (চলবে)।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত