নন্দীগ্রামে সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জটিলতার অবসান
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
-
২
বার পড়া হয়েছে

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন আব্দুর রশিদ আকন্দ। অভ্যন্তরীণ জটিলতায় থাকা বিদ্যালয়ে গিরিশ চন্দ্রের পর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। পদ নিয়ে দুই শিক্ষকের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই নতুন পদায়ন করা হয়েছে। সদ্য যোগদান করা ৭ম গ্রেডের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) আব্দুর রশিদ আকন্দ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।গতকাল সোমবার সরকারি পদায়নে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন নবাগত এই শিক্ষক। তাকে কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝে দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম। শিক্ষককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। সদ্য যোগদান করা আব্দুর রশিদ সান্তাহার হার্ভে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং বগুড়া জিলা স্কুলে কর্মরত ছিলেন।এরআগে অভিযোগ ওঠে, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিয়ে রেজিস্ট্রার ও চেকবইসহ উধাও হন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্র। তার স্থলে চেয়ারে বসেন শরিফুল ইসলাম। তিনি চেকবই জটিলতায় ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে ব্যর্থ হয়ে গিরিশ চন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দেন। এতে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ কার্যক্রম অনেকটা অচল হয়ে যায়। এ অবস্থায় নতুন পদায়নে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষক শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, এই পদায়ন তার প্রতি অবিচার। তিনিই এখনো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করবেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের টাকা তুলতে না পারলেও নানা জটিলতায় নিজের টাকা ব্যয় করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। আগের শিক্ষক হিসাব না দিয়ে রেজিস্ট্রার ও চেকবই নিয়ে উধাও হয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত আছেন। এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন গিরিশ চন্দ্র। তিনি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বলে দাবি করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম নবম গ্রেড। তার স্থলে সপ্তম গ্রেডের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) আব্দুর রশিদ আকন্দ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন