আবারও নতুন করে ছাত্র আন্দোলন এবং বিভিন্ন সড়ক ও রেল অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীগন
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
-
২
বার পড়া হয়েছে

মোঃ আবু ছালেহ বিপ্লব //বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান //
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান টানা আন্দোলনের চতুর্থ দিন ছিল ২০২৪ সালের ৪ জুলাই। এদিন থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলন আরও জোরালো হতে থাকে।২০২৪ সালের এই দিনে ৭ জুলাই (শনিবার) দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে বিক্ষোভ এবং ৮ জুলাই (রোববার) ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল এবং প্রয়োজনে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেন তাঁরা।৪ জুলাই ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন ঝুম বৃষ্টিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও। তারা পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন। পরে আন্দোলনকারীরা সন্ধ্যায় পরবর্তী তিন দিনের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে রাস্তা ছাড়েন।এদিন ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজপথে দাবি আদায়ের শপথ নেন।
এদিনই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকে।এই রায়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু হয়। রায় স্থগিত চেয়ে আপিলও করে রাষ্ট্রপক্ষ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়। সারাদেশে ‘কোটা পুনর্বহাল করা চলবে না’শীর্ষক ফেসবুক গ্রুপে সবাই যুক্ত হন। গ্রুপ থেকেই যাবতীয় বিষয় আপডেট দেওয়া হয়। একই নামে টেলিগ্রাম গ্রুপও খুলেন আন্দোলনকারীরা।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন