মোঃ শামীম হোসেন – স্টাফ রিপোর্টার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, জুলাইয়ের আত্মত্যাগ ছিল গণতন্ত্র অবমুক্ত করার। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের দুর্ভাগ্য, অবাধ নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি হচ্ছে। ক্ষমতায় আসলেই সবাই তা চিরস্থায়ী করতে চান। বুধবার (১১জুন) নগরীর হোটেল অ্যাম্বাসেডরের মালঞ্চ মিলনায়তনে খুলনা মহানগর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির প্রস্তুুতি সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন হলে প্রচারণার সময় রমজান মাস চলবে। এতে মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। তাই এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। নাহলে এ সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, সরকার সংস্কার ইস্যুতে সময়ক্ষেপণ করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংস্কার হবে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন প্রশ্নে সরকার টালবাহানা করছে। টালবাহানা না করে অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দষ্টি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করতে এর বিকল্প নেই। এই ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে রাষ্ট্র মেরামতের যাবতীয় উপাদান। ৩১ দফা শুধু বিএনপির নয়, এটা বিগত স্বৈরাচার আমলে রাজপথে থাকা সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান সরকারের পক্ষে সব সংস্কার করা সম্ভব নয়। কারণ এই সরকার একটি স্বল্প মেয়াদকালীন সরকার, অনির্বাচিত সরকার। এই সরকারের মূল কাজ হচ্ছে, নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশীদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবির, শেখ হাফিজুর রহমান মনি, মুর্শিদ কামাল, এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ আলী, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ^াস, জাকির ইকবাল বাপ্পী, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মতলেবুর রহমান মিতুল, মোল্লা সোহাগ হোসেন, সাহিনুল ইসলাম পাখি, শেখ আবু সাইদ, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদ উল হক হারুন, মোল্লা মশিউর রহমান নান্নু, মোঃ সালাউদ্দীন মোল্লা (বুলবুল), গাজী আফসার উদ্দীন, শেখ মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান, শেখ আব্দুল আলীম, শেখ মনিরুজ্জামান মনির, কাজী নজরুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদ আলম মোড়ল, লিটন খান, মোঃ সাইফুল আলম, সৈয়দ হাসান উল্লাহ বুলবুল, মোঃ জাহিদুল হোসেন, হায়দার আলী তরফদার, কাজী মোঃ ইকরাম মিন্টু, মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোঃ হুমায়ূন কবির, লিয়াকাত হোসেন লাভলু, মোঃ খবির উদ্দীন, মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ মতলুবুর রহমান মিতুল, ইকবাল হোসেন মিজান, শেখ আলমগীর হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ বায়েজিদ, মেশকাত আলী, মঞ্জুরুল আলম, জুয়েল খান, মোঃ নাজমুস সাকিব, মোঃ সওগাতুল আলম ছগীর, মোঃ আমিন আহমেদ,মোঃ শওকত আলী বিশ^াস লাবু, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, কাজী মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান রুনু, মোঃ আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, মোঃ গোলাম মোস্তফা ভুট্রো, এ এম মাসুম বিল্লাহ, মোঃ খোদাবক্স কোরাইশী কালু, মোঃ আবুল কালাম, শেখ নুরুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দীন, খন্দকার ইকবাল কবীর, মোঃ রাসেলুজ্জামান, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মীর শওকত হোসেন হিট্টু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, রবিউল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, ছাত্রদলের মোঃ মিরাজ হোসেন মানিক, মোঃ ফয়সাল বাপ্পি, শ্রমিকদলের মুজিবর রহমান, শফিকুল ইসলাম শফি, জাসাসের কাজী এম এ জলিলমহিলা দলের এ্যাড. হালিমা আখতার খানম, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর হোসেন তালুকদার প্রমূখ।সভা থেকে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনকে আহবায়ক ও শেখ সাদি, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, ৫ থানা বিএনপি’র সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারন সম্পাদক/সদস্য সচিবদের সদস্য করে উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদীকে খানজাহান আলী থানার তিনটি ইউনিট, দৌলতপুর থানার ৬টি ইউনিট এবং খালিশপুর থানার ২টি ইউনিট, মাসুদ পারভেজ বাবুকে খালিশপুর থানার ৭টি ওয়ার্ড ও সোনাডাঙ্গা থানার ৪টি ওয়ার্ড এবং চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজকে সোনাডাঙ্গা থানার ৩টি ওয়ার্ডসহ সদর থানার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সভা থেকে পবিত্র ঈদ উল আযহা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হওয়ায় শুকরিয়া আদায় করা হয়।