চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা অকৃতকার্য রাফির ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি
                    
					
					
				 	
					
					
					 
                        
                            
                            
                                
                                    
										
										
																			
								প্রতিনিধির নাম :								
																
								
								
                                    
                                    
                                        
                                            -    
											প্রকাশিত: 
																						বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫											
												
																																			
-  
											 
																																			৫৯																				   
																						বার পড়া হয়েছে  
											
                                  
                                 
                             
                         
                     
					
					
						
					
					
                    
                         
						 
							
							 
                     
                    
                        
মো লুৎফুর রহমান রাকিব স্টাফ রিপোর্টার।
কুমিল্লা জেলা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১০নং বাতিসা ইউনিয়ন পরিষদের নানকরা কৃতি সন্তান রাফিটানাপোড়েনের সংসারে বেড়ে ওঠা যুবকের লালিত স্বপ্ন সত্যি হয়েছে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পাওয়ার মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ সেবার লক্ষ্য ছোটবেলা থেকে। এ লক্ষ্যে এসএসসি পাশ করার পর থেকে আবেদন শুরু করেন বিভিন্ন বাহিনীতে। একাধারে করেছেন নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ব্যাটালিয়ন ও আনসারে। অবশেষে ২০২৫ এ ১২০ টাকায় ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া ১২০ টাকায় পুলিশে নিয়োগ পান চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সাজ্জাদুল ইসলাম রাফি।আর্থিক অনটন ও সকল প্রতিকূলতাকে ডিঙ্গিয়ে পুলিশে চাকরি পাওয়া অদম্য রাফি দুই ভাই ১ বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। দুই বার হার্ট এ্যাটাক করা রাফির বাবা মকবুল আহমদ পেশায় কৃষক। তিন রুমের টিনের ঘরে বসত মকবুল আহমদ পরিবারের। অভাবের সংসারে পড়ার টেবিলে বসে পড়ার জন্য নেই চেয়ার। নিজ সফলতার পূর্ণ কৃতিত্ব দেন মামা ও খালাদের। তাঁদের অনুপ্রেরণা ও আর্থিক সহযোগীতায় বার বার অকৃতকার্য হওয়ার পর সফল হওয়া রাফি নিজেকে উৎসর্গ করতে চান দেশ ও দেশের মানুষের সেবায়।বাবা মকবুল আহমদ বলেন, ৫ বছরের সাধনায় সে সফল হয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই সে যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারে। রাফির মা বলেন, আমি গর্বিত, ঘুষ ছাড়া নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে আমার ছেলে, এ জন্য আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। রাফির গৃহ শিক্ষক বলেন, ছোটবেলা থেকে তার একটা স্বপ্ন ছিল সে দেশের সেবা করবে, সেই প্রচেষ্টা স্বরূপ সে ২০২৫ এ বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি পেয়েছে। এ জন্য ওর গৃহশিক্ষক হিসেবে আমি গর্বিত।সাজ্জাতুল ইসলাম রাফি বলেন, ছোট বেলা থেকে আমার স্বপ্ন ডিফেন্সের যে কোনো বাহিনীতে যোগ দেয়া। সে লক্ষ্যে এসএসসি পাশের পর ২০২১ সালে নৌবাহিনীতে আবেদন করি। উচ্চতার জন্য সেখানে বাদ পড়ি, এরপর সেনাবীহিনীতেও উচ্চতার জন্য বাদ পড়ি। এরপর আমি নিজের উচ্চতা বাড়াতে ব্যায়াম শুরু করি। এরপর অকৃতকার্য হই পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও আনসারে। তবে আমার মামারা আমাকে সাহস যুগিয়েছেন, অর্থ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে জন্য পাশে থেকেছেন। অবশেষে পুলিশে কৃতকার্য হই। এর জন্য আমি মামা খালা ও আত্মীয়স্বজনের নিকট কৃতজ্ঞ। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমি যেন দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করতে পারি।
                     
					
					
					
					
										
                    
                        
সংবাদটি শেয়ার করুন
                    
                    
					
					
					
					 
			 				   
				   	
			 
			 				   				
				
					
									
                    
                       আরো সংবাদ পড়ুন