প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ২২, ২০২৫, ৭:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২১, ২০২৫, ৫:০৬ পি.এম
হিজলায় রুজিনা বেগমের ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ
হিজলা প্রতিনিধিঃ আলমগীর হোসাইন
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ১ কন্যা সন্তানের জননী রুজিনা বেগম বার বার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানাজায় কাজিরহাট থানার ভংগা গ্রামের নান্নু রাড়ীর মেয়ে মোসা রুজিনা বেগমের সাথে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া গ্রামের নাসির আকনের ছেলে নোমান আকনের সাথে।রুজিনা বলেন আমি বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারি তার স্বামী নোমান আকন প্রতারনা করে কাবিন নামার সমুদয় টাকা পরিশোধ করছে।এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রীর কলহ সৃষ্টি শুরু হয়।পরে রুজিনা বাবার বাড়িতে গেলে ঘরে লুকিয়ে রাখা র্স্বনলংকার স্বামী নোমান আকন ব্যবসা করার উদেশ্য বিক্রি করে দেয়।এ নিয়ে সংসারে অশান্তি তীব্র আকার ধারণ করে।প্রায় সময় নোমান শশুর বাড়ির থেকে টাকা পাওয়ার জন্য স্ত্রী রোজিনাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ প্রচন্ড বৃদ্ধি পায়।গত ২০২৪ সালের ৩ ই আগষ্ট ভোররাতে স্ত্রী সন্তানকে কিছু না বলে স্বামী নোমান আকন পরিবারের কুপরামর্শে উধাও হয়ে যায়।পরে বিভিন্ন মাধ্যমে রোজিনা জানতে পারেন স্বামী তাকে তালাক দিয়ে প্রবাসে চলে যায়।উপায়ন্ত না পেয়ে স্বামী শশুরের নামে গত ২০/০৮/২০২৪ সালে আদালতে একটি মামলা করেন।যখন মামলার তদন্ত হিজলা থানায় দেওয়া হয় তখন নোমানের বাবা কৌশলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের শরাপন্ন হয়ে আপস মিমাংশার মাধ্যমে একটি লিখিত করা হয়। রুজিনা তখন শশুরকে নিয়ে আদালতে গিয়ে মামলা তুলে নেয়।পরে নোমানের বাবা প্রবাসী ছেলের সাথে যোগাযোগ করে আদালতের মাধ্যমে রোজিনাকে দেওয়া তালাকনামা অকার্যকর বাতিল ঘোষনা করেন।এবং ঐ দিন নতুন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে ৬ লক্ষ টাকা দেন-মোহরানা ধার্য করে নতুন কাবিননামা করেন।রুজিনা গত ১৫/০৩/২০২৫ ইং তারিখে শশুর বাড়ির থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে গেলে ১৮/০৩/২০২৫ ইং তারিখে রুজিনা সহ পরিবারের ৫ সদস্যর নামে একটি মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন।এ ঘটনা শুনে রুজিনা বাবার বাড়ির থেকে শশুর বাড়ি এসে ঘটনা জানতে চাইলে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়।এ বিষয়ে রুজিনা পূণরায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।সে মামলা হিজলা থানার এস আই মাহাতাব তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের আথিক লেনদেনের বিনিময়ে রুজিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় ভুগছে রুজিনা।এসব ঘটনা কান্নাজড়িতে কন্ঠে হতাশা গ্রস্থ রুজিনা বলেন কোথায় গেলে ন্যায় বিচার পাবো? এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মাহাতাফ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এড়িয়ে বলেন আমি তদন্তে যা পেয়েছি,তাই দিয়েছে,প্রয়োজনে আপনারা তদন্ত করুন।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত