সুন্দরবনের বনদস্যু বাহিনীর দুই সদস্য আটক, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
প্রতিনিধির নাম :
-
প্রকাশিত:
মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
-
৪
বার পড়া হয়েছে

মোঃ শামীম হোসেন – স্টাফ রিপোর্টার
রাতভর অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর সক্রিয় ২ সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এসময় তাদের আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক আগ্নয়াস্ত্র, গুলি ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান। কোস্টগার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের একটি দল সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন আদাছগী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। এসময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুন্দরবন জেলে বাওয়ালীদের কাছে মূর্তিমান আতংক বনদস্যু করিম শরিফ বাহিনীর অন্যতম দুই সহযোগী মো. সাদ্দাম খান (২০) এবং আব্বাস মোল্লাকে (৪০) আটক করা হয়।পরে ওই এলাকায় তাদের আস্তানায় তল্লাশি করে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি সটগান, ১টি খেলনা বন্দুক, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, ৪ টি কুড়াল, ৭টি করাত, ১০টি রড, ৫টি হাতুড়ি, ১টি সোলার, ২৮টি মোবাইল, ১১টি ওয়াকি টকি চার্জার এবং ২টি কাঠের নৌকা সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দস্যুরা দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যু করিম শরীফের সঙ্গে মুক্তিপণের দাবিতে জেলে অপহরণ, জেলে বহরে লুটপাট, ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে আসছিল বলে জানায় কোস্টগার্ড। মোংলা কোস্টগার্ডের চিফ স্টাফ অফিসার কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে বলেন, কোস্টগার্ডের এধরনের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে সুন্দরবন অঞ্চল ধীরে ধীরে বনদস্যুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ অভিযানের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মাছ শিকারীরা এখন নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘পুরো সুন্দরবনে বর্তমানে এখন ৬/৭টি বাহিনী জেলেদের অপহরণ, লুটপাট, হামলা, মারধর, জেলে ও মৌয়ালদের জিম্মি করা, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে দস্যুরা। তাই সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে আমাদের টিম সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টা টহল কার্যক্রম এবং বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন
আরো সংবাদ পড়ুন