প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৩, ২০২৫, ৭:২০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ২, ২০২৫, ৫:২৮ পি.এম
ইসলাম ধর্ম প্রচার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
শাহ্ ইকবাল হোসাইন বাজিতপুর প্রতিনিধী
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মুসলিম সাধক হযরত শাফাই শাহ আউলিয়া (রহঃ) ময়মনসিংহ জেলা বাজিতপুর উপজেলা মৌজাঃ পিরিজ পুর ইউনিয়ন। বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলা বাজিতপুর উপজেলা পিরিজপুর ইউনিয়ন সুলতান পুর উত্তর পাড়া গ্রামে মাজার শরীফ।
মাঘ মাসের প্রথম সোমবার থেকে ওরশ মোবারক শুরু হয়।
তিন দিন ব্যাপী ওরশ ১৯ও২০। ২০২৬ইং কমিটির আয়োজনে আনুষ্ঠানিক ভাবে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্ত -পাগল আর ভক্তি মূলক গানের আসর। জানা গেছে আশেকানদের পদ চারনায় মুখরিতজরিপ সূত্র জানা যায় ৭০৩ হিজরী ১৩০৩ ইং সনে শামসু উদ্দিন ফিরোজ শাহের মুসলিম শাসন। হযরত শাহ কামাল উদ্দিন কোহাফা ( রহঃ) ও সৈয়দ তাজ উদ্দিন (রহঃ) কুরাইশী ও শাহ রুকন উদ্দিন (রহঃ) তাদের ১২ জনের সঙ্গী হয়ে হযরত শাফাই শাহ (রহঃ) সহ শাহ কামাল উদ্দিন কোহাফা( রহঃ) এর বাবার সাথে খাঁজা বোরহান উদ্দিন( রহঃ) খেতনের সাথে ৭০৩ হিজরি ১৩০৩ সনে হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর হাতে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন কিছু দিন পর সুনামগঞ্জ শাহার দরগাহ পাড়া আস্তানা হাস্তাপন করেন। সুরম পাংশী বজরা নিয়ে নদী দিয়ে বর্ষা কালে ইসলাম ধর্ম প্রচার উদ্দেশ্য রওনা হোন১৩১৫ সনে সিলেট সুনামগঞ্জ ময়মনসিংহ জেলা ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন।হযরত শাহ কামাল উদ্দীন কোহাফাহ (রহঃ) সিলেটে এসে সর্বপ্রথম হযরত শাহ জালাল ইয়ামানী (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করেন৭০৩ হিজরী ১৩০৩ মুসলিম শাসন আমলে সিলেট ময়মনসিংহ ইসলাম ধর্ম প্রচার এবং তার আনুগত্য ও শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। হযরত শাহ কামাল উদ্দীন কোহাফাহ (রহঃ) ও হযরত শাফাই শাহ আউলিয়া( রহঃ) সহ ১৩জন সঙ্গীয় শিষ্য দর্বেশগনও হযরত শাহ জালাল ইয়ামানীর আনুগত্য ও শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তারা সিলেট সহরস্থ দর্গাহ মহল্লায় কিছু দিন অধিষ্ঠান করার পরে, হযরত শাহ জালাল ইয়ামানী (রহঃ) এর নির্দেশে সিলেট সুনামগঞ্জের - ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ।ওউত্তর-পশ্চিম সীমান্ত এলাকার উদ্দেশ্যে বর্ষাকালে সুরমা নদীর শেখঘাট হতে ৩ খানা পাংশী বজরা নিয়ে নদী পথে যাত্রা আরম্ভ করেন। এই যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল ধর্ম প্রচার।হজরত শাহ্ কামাল কোহাফাহ্, তার স্ত্রী ও ১৩জন সঙ্গীয় শিষ্য দর্বেশগনকে সঙ্গে নিয়ে সুনামগঞ্জ সীমান্তে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ১৩১৫ খিষ্টাব্দের জুন মাসে। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে যাত্রা মৈয়ারচর বা মইরচর নামক স্থানে গিয়ে স্থগিত রাখা হয় এবং মৈয়ারচর এলাকাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন তারা সেই অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করেন।
১৩জন সঙ্গীয় শিষ্য দর্বেশগনসম্পাদনাযথাক্রমে উক্ত ১৩ জন সঙ্গীয় শিষ্য দর্বেশগনের নামের তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
সৈয়দ শামসুদ্দিন – সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মোকামপাড়ায়।সৈয়দ তাজুদ্দিন – সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার তাজপুর গ্রামে।সৈয়দ বাহাউদ্দিন – সিলেট জেলার গোলাবগঞ্জ উপজেলার মুকান বাজারে।সৈয়দ রুকনুদ্দিন – মৌলবী বাজার জেলার কদম হাটিতে।
শাহ্ জালালুদ্দিন – সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার কুসিপুর বা কুস্কীপুরে।
সৈয়দ জিয়াউদ্দিন – সিলেট জেলার গোলাবগঞ্জ উপজেলার মুকান বাজারে।
শাহ্ কালা মানিক – সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মণিহারা গ্রামে।
শাহ্ কালু পীর – সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পীরেরগাঁয়ে।
শাহ্ চান্দ – সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার চান্দভ্রাঙ্গ গারামে।
শাহ্ শামসুদ্দিন বিহারী – সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামে।
শাহ্ দাওর বখশ খতিব – দাওরশাহী বা দাওরাই গ্রামে।
শাহ্ ফৈজুল্লাহ – ফৈজী বা ফেজী গ্রামে।
হযরত শাফাই শাহ আউলিয়া( রহঃ) পুরাতন জেলা ময়মনসিংহ বাজিতপুর উপজেলা। কিশোরগঞ্জ জেলা বাজিতপুর উপজেলা ।পিরিজপুর ইউনিয়ন সুলতান পুর উত্তর পাড়া গ্রাম।
এই সকল সুফী দরবেশগন শাহারপাড়াস্ত আস্তানা হতে ধর্মের বানী প্রচার করতেন। উহার ফলে, শাহারপাড়াই ইসলাম ধর্মের কেন্দ্রস্থল হয় এবং সমগ্র সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহ জেলায় ইসলাম ধর্ম এই শাহারপাড়া হইতে আস্তৃত হয়। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে গাবর ও নিরেশ্বর সম্প্রদায়ের লোক জন এক ইশ্বরে আস্তা আনে।
শাহারপাড়া
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত