মোঃ শামীম হোসেন - স্টাফ রিপোর্টার
খুলনার দাকোপে টমেটো চাষে লাভের বদলে বড় লোকসানে পড়েছেন চাষিরা। এবার এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম পাড়া যা পাতশিয়াল ডাঙ্গা গ্রাম নামে পরিচিত গ্রামের বিজন গাইন। তিনি বলেন আমার মতো অনেকই টমেটো চাষ করেছে ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় হাত। প্রতি কেজি টমেটো ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অথচ কেজিতে খরচ পড়েছে ২০ টাকার মতো। এতে লাভের আশা তো দূরের কথা, চাষের দেনা পরিশোধ নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। খেতেই পঁচে যাচ্ছে তাদের টমেটো বাজারে যে দাম তাতে তোলার খরচ উঠবে না। শুধু বিজন নন, টমেটো চাষ করে এবার উপজেলার হাজারো কৃষক এখন লোকসানের মুখে পড়েছেন। টমেটো চাষিরা বলছেন, এবার বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় প্রতি কেজি টমেটো উৎপাদনে খরচ পড়েছে ১৯-২০ টাকা। সেই টমেটো বাজারে ২-৩-৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। তারা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। মাঝখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঠিকই লাভবান হচ্ছেন। এ অবস্থায় হাজারো কৃষককে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনা জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় চলতি মৌসুমে টমেটোর অতিরিক্ত আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম না থাকায় লোকসানের মুখে
পরেছে চাষিরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লাভের আশায় এবারও চাষিরা নানা জাতের টমেটো চাষ করেছেন তারা। প্রতি বছরের মতো তারা আগাম টমেটো চাষ করেছে। আর বাজারে বীজ, সার ও কীটনাশকের যে দাম এতে করে অন্যান্য বছরের তুলনায় চাষের খরচ বেড়েছে। কিন্তু এখন বিক্রি করে লোকসানে পড়ছেন। কৃষকরা জানান, গত মৌসুমে রোজার সময় প্রতি কেজি টমেটোর দাম উঠেছিল ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত। তাতে এক কমবেশি সবাই লাভবান হয়েছেন। সেই আশায় এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। এবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এখন মাঠে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকায়। এই পানির দামে বিক্রি করে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে সকল চাষীদের।